স্পোর্টস ডেস্ক : দল তাদের ওপর প্রত্যাশা করেছিল অনেক। তবে গ্রুপপর্ব পর্যন্ত দারুণভাবেই ব্যর্থ হয়েছেন তারা। একাদশে চমক জাগানো দুটি নাম মার্টিন গাপটিল, টম ল্যাথাম।
নিউ জিল্যান্ড সেমিফাইনালে গেলেও ফ্লপ হয়েছেন দুজন– ওপেনিংয়ে একটি ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলিতে তেমন কিছু করতে পারেননি গাপটিল, ফলে চাপ গিয়ে পড়েছে কেন উইলিয়ামসনের ওপর।
ল্যাথামের অবস্থাও তাই, তার চাপ সামাল দিতে হয়েছে জিমি নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডোমকে। তামিম ইকবাল ৯ ম্যাচই খেলেছেন, রানও করেছেন– তবে দলের ওপর তার প্রভাব ছিল বেশ নড়বড়ে। কুসাল মেন্ডিস শ্রীলঙ্কার বিবর্ণ মিডল অর্ডারের প্রতিচ্ছবি।
হাশিম আমলা ও কাগিসো রাবাদার উপস্থিতিই বলে দেয়, দক্ষিণ আফ্রিকা কেমন বিশ্বকাপ কাটিয়েছে এবার। শেষে এসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশকে টপকে গেছে তারা, তবে ততক্ষণে বেশ দেরিই হয়ে গেছে তাদের।
আন্দ্রে রাসেল ও থিসারা পেরেরা– দুজনকেই ভাবা হচ্ছিল তাদের নিজ নিজ দলের গেম চেঞ্জার। তবে বিগহিটিং দুজন অলরাউন্ডারই ফ্লপ এবার, চোটের কারণে বিশ্বকাপ আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে রাসেলের, নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন পেরেরা।
রশিদ খান আফগান ক্রিকেটের সুপারস্টার, তবে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তিনি হয়েছেন ব্যর্থ।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ রান দিয়ে রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি।
হাসান আলি শুরুতে পাকিস্তান একাদশে ছিলেন, তার ব্যর্থতা দলে এনেছিল শাহিন আফ্রিদিকে। আফ্রিদি শেষ পর্যন্ত আক্ষেপই
বাড়িয়েছেন পাকিস্তানের, তাকে কেন আগে খেলানো হয়নি।এ একাদশের অধিনায়ক নিশ্চিতভাবেই মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অবশ্যএখানে তার প্রতিদ্বন্দী হতে পারতেন গুলবাদিন নাইব, তবে হুটকরে অধিনায়কত্বের চাপে পিষ্ট তার সঙ্গে ঠিক তুলনা চলে না বোধহয় মাশরাফির মতো সফল একজনের।
এখন আসি বাংলাদেশের ওপেনিং কিংবদন্তি তামিম ইকবালের কোথায়। যার ওপর নির্ভরশীল থাকতো পুরো টিমের আশা, বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন এই তামিম ইকবাল। যে কোন ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাটিং এ সর্বোচ্চ দখলদারি তামিম ইকবালের কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে তুলে ধরতে পারেন নি নিজেকে, হয়েছেন একের পর এক ব্যার্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।