নিখোঁজ দুই গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঢাকায় তাদের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে লাশ হলেন আরো দু’জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিহতদের পরিবারে স্বজনদের মাঝে চলছে আহাজারী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দু’টি গ্রামে।
নিহতরা হলেন, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ভরতপুর গ্রামের মৃত আক্কাস সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের সরদার (৪৫) ও একই গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪২)। তারা সর্ম্পকে চাচা-ভাতিজা বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ওহিদুল ইসলাম (২৬) ও মাজপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বশারত আলীর ছেলে সুরুজ আলী (২০) ঢাকায় গার্মেন্টেস চাকুরী করতেন। গত ৬ আগস্ট হঠাৎ করেই তারা নিখোঁজ হন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাদের সন্ধান পায়নি স্বজনরা। ১৬ দিন পর বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক ও তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিখোঁজ দুই গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে দুইজনের মরদেহ আনতে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভোররাতে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন চালকসহ ছয়জন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের চাকা বিকল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের এসআই মতিয়ার রহমান জানান, এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ ৬ জন আহত হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদের মেম্বার ও আব্দুর রাজ্জাক নামের দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা হলেন, মাইক্রোবাস চালক নাজিম উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, সিরাজ উদ্দিন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে ঢাকায় খুন হওয়া ও সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে স্বজনদের মাঝে চলছে আহাজারী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দু’টি গ্রামে। স্বজনদের স্বান্তনা দিতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশিরা। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় আটঘরিয়া ভরতপুর গ্রামের স্থানীয় কবরস্থানে দূর্ঘটনায় আহত দুইজনের লাশ দাফন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।