ওয়েল্ডিং বেশ বিপদজনক কাজ বিধায় অনেক নিরাপত্তার সহিত তা করতে হয়। পানির নিচে ওয়েল্ডিং এর কাজ অনেকে বিজ্ঞান-কল্প কাহিনীর মতো বিবেচনা করলেও বাস্তবে তা করতে হয়। এটি বেশ কঠিন কাজ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অনেকেই জানে না যে ওয়েলডাররা এই বিপদ মাথায় নিয়ে কী পরিমান অর্থ আয় করেন। ঝালাইয়ের মাধ্যমে তীব্র তাপে ধাতুকে গলিয়ে একসাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। তারা এখানে বিশেষ কিছু সরঞ্জাম ও কৌশল ব্যবহার করেন।
এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজনক। কারণ এখানে একসাথে দুইটি কাজ করতে হয়। এক ঝালাই ও দুই পানির নিচে কাজ করা। তারা পানির যত গভীরে যান ততই পানির চাপ বাড়তে থাকে। তারা প্রায় সময় গভীর সমুদ্রে কাজ করে থাকেন।
সমুদ্রের গভীরে পানির চাপ অবিশ্বাস্যভাবে বেশি। পানির নিচে অনেক অন্ধকার থাকে এবং খালি চোখে দেখা যায় না। তারা বিশেষ সরঞ্জাম এবং আলোর উপর নির্ভর করেন। এর ফলে কাজটিকে আরো চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।
পানি বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহী। এ কারণে বৈদ্যুতিক শক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ কারণে তাদের সতর্ক থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রের গভীরে মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী থাকার ফলে তা আরও কঠিন হয়ে যায়। ঘড়ির কাটার বিপরীতে কাজ করতে হয় বলে এ পেশা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
সীমিত সময়ের মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। তাহলে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আমেরিকায় এ ধরনের কাজ যারা করেন তাদের বাৎসরিক আয় ৬৭ হাজার ডলার। অভিজ্ঞতার বিচারে তা এক লাখ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
পানির নিচে ঝালাই এর জন্য এক অনন্য দক্ষতা প্রয়োজন। তা অনেকে রপ্ত করতে পারেন না। পরিপূর্ণ দক্ষতা না থাকার কারণে এ পেশার মানুষের সংখ্যা কম। এ কারণে তাদের মজুরি অনেক বেশি। জাহাজ নির্মাণ এবং সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে এ পেশার লোকের চাহিদা বেশি। বাড়ি ও পরিবার থেকে তাদের কয়েক সপ্তাহ দূরে থাকতে হয়। এই জন্য তারা উচ্চ বেতন পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।