লাইফস্টাইল ডেস্ক : চিন্তা নেই এমন মানুষ বোধহয় আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা সকলেই একে অপরকে বলি, চিন্তা করবেন না। কিন্তু চিন্তা ছাড়া কি মানুষ আছে? তবে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এতটাই খারাপ যে , এর ফলে মানুষের রক্তচাপ বাড়ে। বাড়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ। বাড়ে স্ট্রোকের মতো প্রাণঘাতী রোগের সম্ভাবনা।
আমরা যতই একে অপরকে চিন্তা না করার পরামর্শ দিই না কেন, নিজে সব সময় কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে থাকি। কীভাবে এই চিন্তার হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে একটু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে চললে বা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে চিন্তার পরিমাণ অবশ্যই কিছুটা কমতে পারে। যেমন প্রত্যেকেরই উচিত, অকারণে ভবিষ্যতের কথা না ভেবে আজকের দিনটি নিয়েই চিন্তাভাবনা করা। সব সময় ভাবতে হবে, সামনে যে সমস্যা এসেছে অচিরেই সেটা কেটে যাবে। ফের ফিরবে সুদিন। তবে সমস্যার সমাধন না হলে কী কী অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে এবং সমস্যার পরিমাণ কীভাবে কমিয়ে আনা যেতে পারে তা নিয়ে একটু সতর্ক থাকা টেতে পারে। শান্তভাবে বসে সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করলে সমাধান সূত্র একটা মিলবেই। পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে অযথা দুশ্চিন্তা করলে শরীর কতটা খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিকটাত্মীয়রা নতুন করে আর কতটা চাপে পড়বেন।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, দুশ্চিন্তা ঘাড়ে চেপে বসার আগে দুশ্চিন্তাকেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। প্রশ্ন হল কীভাবে এটা করা যাবে। তবে এটা করা একদমই কঠিন কিছু নয়। দুশ্চিন্তা যাতে ঘাড়ে চেপে বসতে না পারে সে জন্য সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সামান্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। যে বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা করা হচ্ছে দেখা গেল সেটা আদৌ ঘটল না। বরং যেটা ভাবা হয়নি সেটা ঘটে গেল। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই অপ্রত্যাশিত সমস্যার সমাধান করতে হবে বা মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। অতীতের কোনও সমস্যা আদৌ মাথায় আনার প্রয়োজন নেই। মানসিক শান্তি কীভাবে বজায় থাকবে সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানসিক শান্তি বজায় রাখতে হলে প্রথমেই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হবে। সারাদিন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে বিভিন্ন কাজ করতে হবে। অপছন্দের মানুষ সম্পর্কে একটুও ভাবার দরকার নেই। বরং মানুষের অকৃতজ্ঞতাকে স্বাভাবিক বিষয় বলে মেনে নিতে হবে। সমস্যা নয়, বরং নিজের ভাল দিনগুলির কথা ভাবতে হবে। ক্ষতির মধ্যেও কীভাবে ভাল হতে পারে শুধু সেই কথা ভাবতে হবে। অন্যের সুখেও নিজেকে সুখী মনে করে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক সুখ ও শান্তি বজায় থাকলে নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তা অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি নিয়মিত যোগাসন করলেও দুশ্চিন্তা নিশ্চিতভাবেই কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।