আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১০ বছর ধরে ধুপকাঠি বিক্রি করে জমিয়েছিলেন ২৪ হাজার রুপি। লকডাউনের জেরে গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে কোনো উপার্জন নেই তাদের। কোনো মতে টেনেটুনে জীবন পার হচ্ছে। তার ওপর এমন ধাক্কা!
ভারতের তামিলনাড়ুর ইরোড জেলায় থাকেন সোমু ও তার স্ত্রী পলানিআম্মল। দু’জনেই দৃষ্টিশক্তিহীন। স্থানীয় এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ধুপকাঠি ও কর্পুর বিক্রি করে দিন পার করেন তারা।
সপ্তাহের শেষে কিছু টাকা মায়ের কাছে রাখতেন সোমু। ১০ বছর ধরে সঞ্চয় করেছিলেন ২৪ হাজার রুপি। কিন্তু সবই পুরনো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। যা কিনা বাতিল হয়ে গেছে চার বছর আগে।
সোমু জানান, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে হওয়া নোটবন্দি সম্পর্কে তিনি ২০২০ সালের জুলাই মাসে জানতে পেরেছেন। সোমু ব্যাংকে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার রুপি জমা করতে। তখনই ব্যাংকের কর্মচারীরা অবাক হয়ে যান।
সোমু জানান, তার মা নিরক্ষর। মায়ের কাছেই দিনের পর দিন অল্প করে সঞ্চয়ের অর্থ রাখতেন সোমু। সেই জমানো অর্থ তিনি ব্যাংকে রাখতে গিয়ে জানতে পারেন, ওসব আর চলবে না। শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। দিনের পর দিন অনেক কষ্টে কিছু অর্থ জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাংক সেই রুপি নিতে অস্বীকার করেছে। জমানো অর্থ বলতে ওইটুকুই। সেটাও বাতিল হয়ে গেলে জীবন চলবে কী করে!
ধুপকাঠি ও কর্পুর বিক্রি করে যা উপার্জন হতো, তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলত। উপার্জনের সামান্য অর্থ থেকেই অল্প করে সঞ্চয় করতেন সোমু। সেই অর্থ মায়ের কাছে গচ্ছিত থাকত।
কিন্তু এবার সেই সঞ্চিত অর্থ হাতে পাবেন কি না, তা জানেন না সোমু। এরই মধ্যে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কাছে এ ব্যাপারে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সোমু। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানে হয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।