বাংলাদেশ শিগগিরই কোনো একটি বিদেশি কম্পানির টি.কা উৎপাদনে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি কম্পানিটির বা টি.কার নাম প্রকাশ করেননি।
সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘অ.ক্সফোর্ডের টি.কা এখন কেবল অনুমোদনের অপেক্ষায়। এর পরই আমরা পেয়ে যাব। সে জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে আমরা এখন দেশের ওষুধশিল্পকেও টি.কা তৈরি সক্ষমতার জায়গা থেকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলতে চাই। এই সক্ষমতা আমাদের দেশে রয়েছে। কয়েকটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশেই রয়েছে। যদিও এখন যে টি.কা উৎপাদনের কথা চলছে, সেটি আমাদের দেশের কোনো কম্পানির টি.কা নয়। একটি বিদেশি কম্পানির টি.কা আমাদের দেশে উৎপাদন হবে।’
এদিকে দেশে দেশে বাড়ছে টি.কা প্রয়োগের পরিধি। ফা.ইজারের টি.কা দেওয়া চলছে আপাতত। আগামীকাল আরেক আলোচিত ম.ডার্নার টি.কার অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিডিউল রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে ফা.ইজারের পাশাপাশি ম.ডার্নার টি.কা প্রয়োগ শুরু হবে বিভিন্ন দেশে। ২১ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ম.ডার্নার টি.কার যাত্রা হওয়ার ব্যাপারে ম.ডার্না তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রেখেছে।
ভারতে যেকোনো সময়ে অ.ক্সফোর্ডের টি.কার অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক সূত্র। তাদের মতে, ভারতে অ.ক্সফোর্ডের টি.কার অনুমোদন মেলার পরই দু-চার দিনের ব্যবধানে তা ভারত ও বাংলাদেশে সরবরাহপ্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতে যেহেতু এই টি.কা তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট, তাই টি.কাটি অনুমোদনের পর ভারতে এক-দুদিনের মধ্যে দেওয়া শুরু হবে। তবে বাংলাদেশে তা এনে কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে প্রয়োগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরো কিছু সময় লাগবে।
অন্যদিকে তাপমাত্রা নিয়ে সংকটের বিষয়টি সবার জানা থাকলেও এখনো দেশে ফা.ইজার ও ম.ডার্নার টি.কা সংগ্রহের ব্যাপারে সরকারের জায়গা থেকে আগ্রহ কম থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক টি.কা বিশেষজ্ঞ কালের কণ্ঠকে বলেন, শুধু অ.ক্সফোর্ডে কিংবা কোভ্যাক্সে পড়ে থাকা ভুল হচ্ছে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে হলেও ম.ডার্না ও ফা.ইজারের টি.কা সংগ্রহের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নয়তো মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে যাবে। প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে হলেও ম.ডার্না, ফা.ইজার বা এমন একাধিক টি.কার আগাম জোগান নিশ্চিত করা উচিত ছিল।
একজন বিজ্ঞানী পরিষ্কারভাবেই বলেন, ম.ডার্না বা ফা.ইজারের টি.কা দেশে সব মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা কঠিন হলেও অল্প পরিমাণে বিত্তবান শ্রেণির মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা অসম্ভব নয়। এমনকি দেশে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি কিংবা আরো কয়েকটি বড় ওষুধ কম্পানি ও ল্যাবে ওই টি.কা সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা এখনই রয়েছে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো যাবে। এতে অন্তত একটি জনগোষ্ঠীর চাপ কমবে এবং যার পরোক্ষ উপকার পাবে অন্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।