খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেলেন বা সবজি কাটতে গিয়ে হাতের আঙুল কেটে ফেললেন। এগুলো খুবই সাধারণ দুর্ঘটনা। কারণ আমাদের ত্বক নিজেই আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে যায়। ক্ষত সারানোর জন্য শরীরে আছে বিশেষ মেকানিজম।ইনজুরিতে পড়া টিস্যুগুলো আবার আগের মতো কর্মক্ষম হয়ে উঠতে পারে দুই উপায়ে। হয় নতুন কোষ তৈরি হবে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোই সেরে উঠবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষত সারার জন্য এ দুই পদ্ধতি একই সঙ্গে আমাদের শরীর ব্যবহার করে। তবে ব্যতিক্রমও আছে। যেমন হৃৎপেশি বা মস্তিস্কের নিউরন ইনজুরিতে পড়লে নতুন করে তৈরি হতে পারে না।
নতুন করে কোষ তৈরি হতে রেপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়। ইনজুরিতে পড়া টিস্যু থেকে একই রকম কোষ বিভাজিত হয়ে ক্ষত পূরণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে আশপাশের কোলাজেনের নেটওয়ার্কের অবস্থা ভালো হতে হয়। নতুন কোষ তৈরি ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সেরে উঠতে পারে। এ জন্য রেপ্লিকেশন দরকার হয় না। সারাইয়ের কাজ তিন ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপ হলো প্রদাহ ধাপ।
এই ধাপে প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ম্যাক্রোফেজ ও ফ্যাগোসাইটিক কোষ ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবাণু ধ্বংস করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বৃদ্ধি হরমোন নিঃসৃত হয়। দ্বিতীয় ধাপকে বলা হয় বৃদ্ধি ধাপ। এই ধাপে ক্ষতস্থানটি কোলাজেন দিয়ে ভরাট হতে থাকে এবং স্কার টিস্যু গঠন করে। একদম শেষ ধাপ বা পরিণত ধাপে স্কার টিস্যু শক্তিশালী কোলাজেন টিস্যু দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। আগে তৈরি হওয়া অপ্রয়োজনীয় টিস্যুগুলো অপসারিত হয়ে যায়।
ক্ষতের ধাপ
১. ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক
ত্বক কেটে যখন রক্ত বের হয়, তখন ত্বকের ডার্মিস স্তরের রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তপাত হয়।
২. কটিং
ফিব্রোব্লাস্টের মতো কোষগুলো ত্বকের ক্ষতস্থানের দিকে চলে আসে এবং রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।
৩. প্লাগিং
ক্লটের মধ্যে ফিব্রাস টিস্যুর প্লাগ তৈরি হয়। এটি নতুন তৈরি হওয়া কোষকে সুরক্ষা দেয়।
৪. খসখসে চামড়া
ফিব্রাস প্লাগ পরে শক্ত হয়ে খসখসে চামড়ার মতো তৈরি করে। এটি নিজে থেকেই কিছুদিন পর পড়ে যায়। তবে ক্ষতস্থানে কিছু দাগ রেখে যেতে পারে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।