জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। ভালো বেতনে চাকুরীর কথা বলে তাকে নাটোর থেকে গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশনে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে দৌলতদিয়ায় নিয়ে যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় রোজিনা বেগম (২৯) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামের (যৌনপল্লী) সুমন মন্ডলের স্ত্রী।
উদ্ধার হওয়া তরুণী জানান, তিনি নাটোর জেলার এক দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। সম্প্রতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার এক লোকের সাথে তার ফোনে কথা হয়। পরিবারের অভাব অনটনের বিষয়টি তার কাছে খুলে বলেন তিনি। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি তাকে গার্মেন্টসে ভালো বেতনে চাকুরীর কথা বলে চলতি বছর মার্চ মাসে ট্রেনে করে নাটোর থেকে গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশনে আসতে বলেন। তার কথামত তিনি গোয়ালন্দ ঘাট স্টেশনে চলে যান। কিন্তু তখন ফোন নম্বরটি বন্ধ পেয়ে রেলস্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় রোজিনা বেগম ওই তরুণীকে ডেকে বলে তোমার চাকুরীর জন্য আমার সাথে যেতে হবে।
তরুণী আরও জানান, রোজিনা তাকে সাথে করে নিয়ে যৌনপল্লীর একটি ঘরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় পালানোর চেষ্টা করলেও কড়া পাহারার কারণে ব্যর্থ হন। রোববার ভোরে তিনি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। কিছুদুর যাওয়ার পর তার পিছু নেন রোজিনা। এসময় সে চিৎকার চেচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন ও যৌনপল্লীর অদুরে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে উদ্ধার ও রোজিনা বেগমকে আটক করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান,উদ্ধার হওয়া তরুণী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন। রোজিনা বেগমকে রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।