জুমবাংলা ডেস্ক : নিখোঁজের একদিন পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পলাশ শব্দকর (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বলাৎকারের পর তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত পলাশ উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিচিরি গ্রামের পরিমল শব্দকরের ছেলে। শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল পলাশ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় পলাশ শব্দকর। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে বিকালে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বাবা পরিমল শব্দকর।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একই এলাকার মিজান আলীর ছেলে জাহেদ আলীকে (১৫) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আটক জাহেদ আলী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পলাশ শব্দকরের মরদেহ কালিটি চা-বাগান এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে জাহেদের বাবা মিজান আলী (৪৫) ও চাচাতো ভাই চান মিয়ার ছেলে রাহেল আহমদকে (২৬) আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, পলাশকে বলাৎকারের পর পরিকল্পিতভাবে হ’ত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার জানা যাবে।
আটক জাহেদ আলী পুলিশকে জানায়, জাহেদ ও রাহেল পলাশকে চা-বাগান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বড় গাছে পাখির বাসা থেকে বাচ্চা এনে দিতে পলাশকে গাছে ওঠায় তারা। একপর্যায়ে গাছ থেকে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে পা ভেঙে যায় পলাশের। এ সময় শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে জাহেদ ও রাহেল শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে গভীর জঙ্গলে শ্বাসরোধে হ’ত্যা করে চলে যায়।
কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বলাৎকারের বিষয়টি বলছেন স্থানীয়রা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।