স্পোর্টস ডেস্ক : জুটি গড়ার রেকর্ড হয়েছে দুইটা। সাথে সাউথ আফ্রিকায় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব, লিটন ও ইয়াসিরের ফিফটি; বাংলাদেশ স্কোর ৩১৪/৭।
সাউথ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ২৭৮। সেবারও এই রান তুলতে কাকতালীয়ভাবে ৭ উইকেট খুইয়েছিল টাইগাররা। তবে দুর্ভাগ্য, ২০১৭ সালের প্রথম ওয়ানডেতে ওই রান করেও হেরেছিল ১০ উইকেটে।
টস জিতলে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে কিনা সে আলাপটা এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ। তবে টস হেরে বাধ্যতামূলক ব্যাটিং নিয়ে মন্দ হয়নি। ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান ও লিটন কুমার দাস।
৯৫ রানের পার্টনারশিপে ওপেনিং জুটিতে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন তামিম লিটন। ৬৭ বলে ৪১ রান করে এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। এরপরই ৬৭ বলে ৫০ রান তুলে কেশভ মহারাজের বলে সোজা বোল্ড হয়ে ফিরেছেন লিটন কুমার দাস।
ক্রিজে নেমে টাল সামলে নেন সাকিব আল হাসান। যদিও মুশফিকুর রহিম আজও সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে করেছেন মাত্র ৯ রান। তবে পাঁচে নামা ইয়াসির আলী রাব্বিকে সাথে নিয়ে ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন সাকিব। ৬৪ বলে ৭৭ রানে সাকিব ফেরার পর কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যক্তিগত ৫০ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ইয়াসির।
এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে তাদের জুটি ২৯ রানের বেশি করতে পারেনি। আফিফ ফিরেছেন ১৭ রানে। ২৫ রানে ফিরেছেন রিয়াদ।
শেষ দিকে ঝলক দেখায় তাসকিন আহমেদ-মেহেদী মিরাজ জুটি। চার ছক্কায় দলকে নিয়ে যান ৩০০ রানের বড় দেয়ালের ওপারে। ১৩ বলের ঝড়ো পার্টনারশিপে দুই জনে তুলেছেন ২৬ রান। এর মধ্যে তাসকিন করেছেন ৭ আর মিরাজ করেছেন ১৯ রান।
বাংলাদেশের স্কোর: ৫০ ওভারে ৩১৪/৭ (তামিম ৪১, লিটন ৫০, সাকিব ৭৭, মুশফিক ৯, ইয়াসির ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ১৭, মিরাজ ১৯*, তাসকিন ৭*; এনগিডি ১০-১-৭৫-১, রাবাদা ১০-০-৫৭-১, ইয়াসেন ১০-১-৫৭-২, মহারাজ ১০-০-৫৬-২, ফেলুকওয়ায়ো ১০-১-৬৩-১)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।