জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢলে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গামোড়ের বাঁধে ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ (এক) হাজার পরিবার। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তলিয়ে গেছে পাট, ভুট্টা, সবজি ক্ষেত, বীজতলা ও আউশ ধান।
উপজেলার ভাঙ্গামোড়, বড়ভিটা, ফুলবাড়ী, শিমুলবাড়ী ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, পানিবন্দী ও বাঁধে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে জীবন-যাপন করছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দুই একদিনের মধ্যে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়বে।
ইতিমধ্যেই গোরকমন্ডল, চর গোরকমন্ডল, ফুলমতি, কিশামত শিমুলবাড়ী, যতিন্দ্রোনারায়ন, সোনাইকাজী, রোশন শিমুলবাড়ী, কবির মামুদ, প্রানকৃষ্ণ, পশ্চিম ও পূর্ব ধনিরাম, চর বড়ভিটা, চর বড়লই, রাঙ্গামাটি, খোচাবাড়ীসহ ধরলার তীরবর্তী ৫০টির মতো চর বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বানভাসিদের জন্য ১২ মেট্রিক টন জিআর এর চাল ও ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ভাঙ্গামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানালেন, তার ইউনিয়নের বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া একহাজার পরিবার ওয়াপদা বাঁধ ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পয় নিষ্কাশনের দারুণ সমস্যা হচ্ছে।
ইউএনও তৌহিদুর রহমান জানান, পানিবন্দী মানুষের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি পানিবন্দী পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।