জুমবাংলা ডেস্ক : আখাউড়ায় ফেনসিডিল পান করতে গিয়েছিলেন শেখ নয়ন। সেখানে এক মা’দক ব্যবসায়ী তাকে প্রস্তাব দেন, গাঁজার বস্তা শহরে পৌঁছে দিতে। বিনিময়ে নগদ টাকা ও বিনা পয়সায় ফেনসিডিল দেবেন। লোভে পড়ে গাঁজার বস্তা নিয়ে শহরে যাওয়ার পথে নয়ন ধরা পড়েন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানদের হাতে। পরে সেই বস্তার উপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর ঘুম ভাঙে নয়নের। বর্তমানে আখাউড়া থানায় আবাস হয়েছে তার। বিজিবি তার বিরুদ্ধে মা’দক আইনে মামলা করেছে।
গ্রেপ্তার নয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কাউতলী এলাকার বাসিন্দা। গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ফকিরমুড়া ক্যাম্পের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা তাকে আটক করে।
বিজিবির হাতে কীভাবে ধরা পড়লেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নয়ন বলেন, ‘আমি ফেন্সিডিল খাইতে আখাউড়ায় আসছিলাম। উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের সিরাজ নামে এক মা’দক ব্যবসায়ী আমারে গাঁজার বস্তা আখাউড়া শহরে পৌঁছাই দিলে নগদ এক হাজার টাকা এবং ফ্রিতে মাল খাইতে দিব এমন আশ্বাস দেয়। পরে গাঁজা ভর্তি বস্তা মাথায় কইরা আনোয়ারপুর সীমান্ত থেকে আখাউড়া শহরে আসার পথে বিজিবি আমারে আটক করে।’
ফকিরমুড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে গাঁজার চালান নিয়ে দুই মা’দক ব্যবসায়ী আখাউড়া আসছেন বলে গোপন তথ্য পায় বিজিবি। এরই সূত্র ধরে বিজিবির টহলের একটি দল উপজেলার আনোয়ারপুর-আখাউড়া সীমান্ত সড়কে অভিযান চালায়। পরে ২৫ কেজি গাঁজাভর্তি বস্তাসহ শেখ নয়নকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় সিরাজ নামে এক চোরাকারবারি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে মা’দক আইনে মামলা দিয়ে নয়নকে আখাউড়া থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই মামলায় মা’দক ব্যবসায়ী সিরাজকে পলাতক দেখানো হয়।
আখাউড়া থানার ভারর্রপাপ্ত (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী বলেন, ওই যুবককে আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।