জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁ জেলার মিনি কক্সবাজার বলে খ্যাত হাঁসাইগাড়ী বিলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন বিকেলে দেখা যায় হাজারো মানুষের ভীড়। সব বয়সের নারী, পুরুষ, যুবক, যুবতী, কিশোর, কিশোরী, শিশু, বৃদ্ধ সব পেশার মানুষের উপস্থিতিতে হাঁসাইগাড়ী বিলের পাশের রাস্তাটি হয়ে উঠে মুখরিত।
ইতিমধ্যে এই বিলের অবারিত রুপালী জলের ধারা বিনোদ ন প্রিয় মানুষের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। নওগাঁ ছাড়াও আশে-পাশের রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে-দলে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন।
জেলার সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নে এই বিলের অবস্থান। হাঁসাইগাড়ী বিলকে দুইভাগ করে নির্মিত হয়েছে নওগাঁ জেলা সদর থেকে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কাটখইড় পর্যন্ত পাকা সড়ক। এই সড়ক নির্মাণের পর থেকেই হাঁসাইগাড়ী বিলের অবারিত সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়।
জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই বিলের অবস্থান। শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে বিলে যাওয়া যায়।
পুরো বর্ষা মৌসুমে প্রতি বিকেল দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত থাকে এই সড়কটি। এখানে এসে শুধু দাঁড়িয়ে রুপালী জলের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করাই নয়, ব্যবস্থা রয়েছে নৌ-ভ্রমণেরও। চুক্তিভিত্তিক নৌকায় চড়ে বিলে ঘুরে বেড়ানো ভ্রমণ পিপাসুদের বাড়তি আনন্দ যুক্ত হয়। এলাকার শতাধিক মানুষ নৌকা বেয়ে প্রতিদিন ভালো আয় করে থাকেন। তারা প্রতি ঘন্টা নৌকার ভাড়া নিয়ে থাকেন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বিক্রি হয় পদ্মফুল, পদ্মখোঁচা। এভাবে অনেক পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরের পর বিভিন্ন দিক থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের গন্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে হাঁসাইগাড়ী বিল। বিকেল হতে না হতেই বিল পাড়ের এই রাস্তাটি হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য। পুরো বর্ষা জুড়ে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য।
বর্ষা শেষে এখানকার চিত্র পুরোটাই পাল্টে যায়। বোরো ধানের আবাদে সবুজ হয়ে উঠে। সেই সবুজ ক্রমেই সোনালী ধানের ক্ষেতে রূপান্তরিত হয়। হেমন্তের সেই আরেক সৌন্দর্য।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম রবিন শীষ জানান, হাঁসাইগাড়ী বিলের অবারিত সৌন্দর্য খুবই আকর্ষণীয়। এখানে দর্শনার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে আরও কিভাবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যায় সে ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।-বাসস
ইসলামী ব্যাংকের এএমডি পদে ওমর ফারুক খান ও জামাল উদ্দিনের যোগদান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।