নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলা শহরে প্রথমবারের মতো আজ শনিবার থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) পণ্যমেলা শুরু হয়েছে। এই মেলাটি চলবে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
শহরের মুক্তির মোড় চত্বরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের এই মেলার আয়োজন করে।
মেলায় নওগাঁ জেলার ৫০টি এসএমই প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের পাটজাতপণ্য, হ্যন্ডিক্রাফট, কৃষি প্রক্রিয়াজাতপণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়ার, গৃহস্থালি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
বিকালে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার। পরে মুক্তির মোড় থেকে মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে মেলা প্রাঙ্গনে অস্থায়ী মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন জলিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায় ও ওয়াশীমুল বারী প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হবে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কথা চিন্তা করে এসএমই খাতের শিল্প উদ্যোক্তাদের কম সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কষ্ট করতে জানে, চ্যালেঞ্জ নিতে জানে। তাদের দরকার একটু সহযোগিতা ও সহায়ক পরিবেশ। এসএমই শিল্প উদ্যোক্তাদের সরকার সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। তাই শুধু চাকরির কথা চিন্তা না করে বেকারদের উদ্যোগী হতে হবে। চাকর না হয়ে মানুষকে চাকরি দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় শিল্পপণ্য বেচা বিক্রির পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীরা নাচ-গান পরিবেশন করবেন। এছাড়া আলোচনা সভা, রক্ত দান ও রক্তের গ্রুপ শনাক্ত, ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও সাপ খেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।