জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুলকে খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশ মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আশিকুজ্জামান আশিক (২৭)। পিতার নাম মৃত সোহেল মিয়া। বাসা ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দি জামতলা মোড়।
সোমবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান সাংবাদিকদের আশিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আশিককে রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর আকুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি একজন পেশাদার চোর ও মাদকসেবী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১ মে নগরীর তিনকোনা পাড় এলাকায় একটি মেসে থাকা অবস্থায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান (২২) ভোরে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন। তৌহিদুলের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, খুনের ঘটনার ২ দিন আগে নিহত শিক্ষার্থী তৌহিদুলের সাথে খুনি আশিকের সামান্য বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। সে সময় আশিক নিহত শিক্ষার্থী তৌহিদুলের মোবাইলটি দেখে তা পাওয়ার লোভ করে। এরপর আশিক গোপনে বাসা চিনে আসে তৌহিদুলের। রাত ৩টার দিকে আশিক মোবাইলটি চুরির উদ্দেশ্যে তৌহিদুলের ঘরে প্রবেশ করলে তৌহিদুল তা দেখে ফেলে। একপর্যায়ে দুজনের মাঝে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ঘরে থাকা একটি রড দিয়ে তৌহিদকে আঘাত করে আশিক পালিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় তৌহিদকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২ মে তৌহিদুলের বাবা সাইকুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার পর জেলা ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ খুনিকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। ৪৮ ঘণ্টার মাধ্যেই খুনিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।