জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবাসের প্রতিবাদে রাজধানীতে সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশীদ বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ২ বছর কারাবাসের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশ বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, সদ্যসমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর যুবসমাজ ও জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করেছে। নির্বাচিত মেয়ররা মাত্র ৫-৭ শতাংশ মানুষের রায় পেয়েছে। বাকি ফলাফল ইভিএমের জাল ভোট। বর্তমান সরকারের আমলে গণতন্ত্র আইনের শাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার চায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যাক। সরকার ভোটারদের ভয় পায়। তাই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার অর্থ তারা মনে করে তাদের ভোটে এই সরকারের পরিবর্তন হবে না। তাদের জন্য একটা অশনি সংকেত।
ড. কামাল হোসেন বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে তাকে মোটেই সুষ্ঠু বলা যাবে না। সরকার দায়িত্বহীনভাবে সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া পদ্ধতি ধ্বংস করেছে। যার ফলে আজকে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা পুরো নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন এ জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের যে ভোটের মাঠে ক্যাম্পেইন ছিল আপনারা সর্বাত্মক আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল না- এ ধরনের বক্তব্য সঠিক নয়। আপনাদের ক্যামেরা প্রকাশ করেছে, প্রমাণ হয়েছে জনগণ আমাদের সঙ্গে কীভাবে মাঠে ছিল।
আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, ধৈর্য্য সহকারে রাজনৈতিক দলকে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্দোলনে নামতে হবে। অস্থির হলে চলবে না। সময় বলে দেবে- কখন কী করতে হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তা-ই করবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকে আমরা রাস্তায়, পথে-ঘাটে মিটিং-মিছিল, সব ধরনের সভা কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্প ধারা বাংলাদেশে মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।