জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে যৌতুকের দাবিতে লাইলী আক্তার নামে এক নববধূকে পিটিয়ে ও গো পনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নি র্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মারধরের পর মেয়েটিকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে নববধূর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থনীয়রা জানান, মাত্র চার মাস আগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুরের মৃ ত আবুল কাশেমের মেয়ে লাইলী আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমানের বিয়ে হয়। তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই মোটা অংকের যৌতুকের জন্য লাইলীর ওপর অ ত্যাচার-নি র্যাতন শুরু হয়।
বাবাহারা লাইলীর সুখের জন্য স্বামী মিজানের হাতে তিন দফায় এক লাখ টাকা তুলে দেন লাইলীর দরিদ্র ভাই আলামিন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে বাবার বাড়ি থেকে চার লাখ টাকা এনে দেয়ার কথা বলে মিজান। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মিজান ও তার মা মিলে লাইলীকে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তার গো পনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নি র্যাতনের পর তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মিজানের বাড়ি থেতে নববধূ লাইলীকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সজীব ঘোষ জানান, লাইলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
লাইলী আক্তারের বড় ভাই আলামিন জানান, তিনি ঢাকায় ফেরি করে মাছ বিক্রি করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
হোসেনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে নি র্যাতনের শিকার মেয়েটির ভাই আলামিন বাদী হয়ে শনিবার সকালে নারী ও শিশু নি র্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।