জুমবাংলা ডেস্ক : দেড় বছর আগে সানজিদা আক্তারের সাথে রাজধানীর একটি হাসপাতালে পরিচয় হয়েছিল নাসির উদ্দিনের (২১)। সানজিদা তার বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে।
হাসপাতালেই দেখা, ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া। তারপর দুজনের প্রেম। দেড় মাস আগে কুমিল্লায় আদালতে বিয়েটাও সেরে নেন তারা।
বিয়ের পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্সে ভর্তি হন নাসির, আর সানজিদা পড়তেন নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজে ইংরেজি অনার্স প্রথম বর্ষে। থাকতেন সিদ্ধিরগঞ্জে।
সেই নাসিরই আজ সোমবার রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের বাথরুমে ঢুকে স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহ’ত্যা করলেন।
অচেতন অবস্থায় স্ত্রী সানজিদা আক্তার তাকে উদ্ধার করে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কী ঘটেছিল সকালে?
দুজনের পরিচয় পর্ব আর বিয়ের বর্ণনা দিয়ে স্ত্রী সানজিদা আক্তার জানান, আজ সকালে নাসির কুমিল্লার গ্রামের বাড়ি থেকে সায়দাবাদে আসে। আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে তার সাথে সায়েদাবাদের একটি হোটেলে উঠি।
হোটেলে হঠাৎ নাসিরের মোবাইলে ফেসবুকে একটি মেয়ের মেসেজ আসে। আমি বিষয়টা জানতে চাই। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে নাসির আমার ওড়না নিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়ে।
অনেক্ষণ বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় হোটেলের লোকজনসহ দরজার লক খুলে দেখি বাথরুমের কাপড় রাখা রডের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে।
লা’শ মর্গে
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আব্দুল খান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
কে এই নাসির?
নাসিরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর থানার মুরাদনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।