আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইমরানের রাজনৈতিক জীবন, তার উত্থান-পতন মনে করিয়ে দিচ্ছে কিছু বিশিষ্ট ঐতিহাসিক চরিত্রের। যেমন, বিশ্বের কিছু বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম এখন ইমরানের সঙ্গে সিরাজ-উদ-দৌলার সঙ্গে মিল খুঁজছে।
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরান খান বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। তাঁর অভিযোগ উপমহাদেশের ইতিহাসের দুই চরিত্র টিপু সুলতান ও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা দুজনই দেশপ্রেমিক ছিলেন। জীবনের শেষ পর্যন্ত পশ্চিমি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়েছেন। ইমরান খান যদি রাজনীতির মাঠে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে না পারেন তবে অনেকেই হয়তো তাঁকে টিপু সুলতান কিংবা সিরাজের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করবেন।
দেশে অর্থনৈতিক দুরবস্থা তৈরি করা এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান। এক সময় তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করতে পেরেছিলেন। তখন মনে করা হয়েছিল, ইমরানের বিরোধীদের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। বিরোধীরা শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি, একজোট হয়ে ইমরান খানের উপর চরম আঘাতও হেনেছে।
ইমরান খান দেশের কোনো খাতেই সংস্কারের ছোঁয়া রেখে যাননি। যদিও ক্ষমতায় আসার আগে তিনি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইমরান খানের পর যিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। পরিবর্তনের শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। কিন্তু তাঁর আমলে পাকিস্তানের অর্থনীতি খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। পাকিস্তানিদের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশিদের তুলনায় কমেছে।
ফলে ইমরানের জনপ্রিয়তা কমেছে। তার মানে এই নয়, ইমরান সম্পূর্ণ ব্রাত্য হয়ে গেলেন। ইমরানের সামনে এখনও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। আগামি বছর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ চাইলে ওই নির্বাচনে জিতে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারেন তিনি। এমন ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে আগেও ঘটেছে। তবে ইমরান যদি রাজনীতির মাঠে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে না পারেন তবে অনেকেই হয়তো তখন তাঁকে টিপু সুলতান কিংবা সিরাজের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।