জুমবাংলা ডেস্ক : মুমিনরা সবাই এক পিতার সন্তানদের মতো ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে পৃথিবীর সব মুমিনকে একটি দেহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দেহের কোথাও আঘাত পেলে যেমন শরীর ব্যথা অনুভব করে, তেমনি কোনো মুমিন পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে আক্রান্ত হলে অন্য মোমিনের দেহে সে আঘাত অনুভূত হবে। (মুসলিম ও মিশকাত শরিফ)। যদি না অনুভূত হয়, তবে ধরে নিতে হবে যে, তার ইমান পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য ইমরাতস্বরূপ, যার এক অংশ আরেক অংশের সঙ্গে যুক্ত থেকে মজবুত হয়। এরপর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐক্য ও দৃঢ়তা বোঝানোর জন্য হাতের এক আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে স্থাপন করলেন। (বুখারি, মুসলিম ও মেশকাত)। মানবতার মুক্তির দূত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন- যারা আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালোবাসে এবং এ জন্য পৃথক হয়, আল্লাহ তাদের তার আরশের ছায়া দেবেন, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া কোনো ছায়াই থাকবে না। (বুখারি, মুসলিম)।
অন্যত্র বলেন- ‘যখন কোনো লোক তার ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করবে, তখন সে যেন তাকে ভালোবাসে বলে জানিয়ে দেয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি)। আরেক জায়গায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- নেক কাজের মধ্যে কোনোটাকে তুচ্ছ মনে কর না।
যদি তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয়টিও হয়। (মুসলিম রিয়াদুস সালেহীন)। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মধ্যস্থতা করাকে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্ব দিয়েছেন। ইরশাদ করেছেন- ‘ওই ব্যক্তি মিথ্যুক নয় যে দুই ব্যক্তির মাঝে সন্ধি ও সমঝোতা করাতে গিয়ে একজনের পক্ষ হতে অপরজনের কাছে কোনো উত্তম কথা পৌঁছায় বা উত্তম কথা বলে।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
আজ অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য, আমরা একে অপরকে ভালোবাসার পরিবর্তে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছি। একে অপরের দোষচর্চা করছি। পরিশেষে দয়াময় প্রভুর দরবারে আকুল প্রার্থনা- প্রভু হে, আমাদের সবাইকে সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।