নমুনা না দিয়েও করোনা পজিটিভের রিপোর্ট!
কুষ্টিয়া পূর্ব মজমপুরের বাসিন্দা গোলাম রসুল। ষাটোর্দ্ধ এই ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে অফিস সহকারি হিসেবে চাকুরী করতেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন ২০১৭ সালে।
বুধবার রাতে মজমপুরস্থ গোলাম রসুল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তার বাড়ীটি লকডাউন করতে যায় প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই গোলাম রসুলের; সেই সাথে তিনি আক্রান্ত কিনা তা পরিক্ষার জন্য নমুনাও দেননি কোথাও। তবে কিভাবে তার করোনা টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ আসলো তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।
জানা যায়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের ২৪ জুনের দেওয়া ২৭টি করোনা পজেটিভ নমুনার মধ্যে গোলাম রসুলের নমুনা রয়েছে।
গোলাম রসুল বলেন, আমার শরীরে ঠান্ডা, জ্বর কিংবা করোনার উপসর্গ কিছুই নেই। মাঝে মধ্যে বাজারে যাই, এজন্য করোনা হতে পারে শংকায় ফ্লু কর্ণারে গিয়েছিলাম। তবে আমি নমুনা দেইনি। নাম রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। হঠাৎ বুধবার রাতে পুলিশ এসে বলে আমি করোনা পজেটিভ রোগী। বাড়ী লকডাউন করা হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুন্নাহার বেগম জানান, হয়তো গোলাম রসুলের নাম লিখিয়ে চেয়ারে অন্যকেউ করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছেন। তবে যিনি নমুনা দিয়েছেন তিনি করোনা পজিটিভ।
তিনি বলেন, কে গোলাম রসুলের পরিবর্তে নমুনা দিয়ে গেছে আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গোলাম রসুল নামের ঐ ব্যক্তি করোনা টেস্ট করানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলো। তিনি টেস্ট দেওয়ার লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন। তবে হঠাৎ তিনি চলে যান। এই সময়ে অন্যকেউ নমুনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। তবে আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিলো। আমরা গোলাম রসুলের নমুনা নেয়ার ব্যবস্থা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।