জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। তবে পূর্ণ নম্বর কমিয়ে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা আছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আর দিনে কেবলমাত্র একটি বিষয়ে পরীক্ষা রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শেষে বোর্ডগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনে দুটি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রতি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর কমানোর প্রস্তাব আছে। সেক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেগুলোতে বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল উভয় অংশের পূর্ণমাণ থেকে ৫০ শতাংশ করে কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যেগুলোতে ব্যবহারিক আছে সেগুলোতে ব্যবহারিক নম্বর ঠিক রেখে অবশিষ্ট অংশের (এমসিকিউ ও সৃজনশীল) নম্বর সমন্বয় করে পূর্ণ নম্বর ৫০ শতাংশ কমানো হবে।
অপর প্রস্তাবে কেবল এমসিকিউ কিংবা সৃজনশীল অংশের যেকোনো একটির পরীক্ষা নেয়ার বিষয় আছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহারিকের নম্বর ঠিক রেখে বাকি অংশের ওপর নম্বর সমন্বয় করা হবে। করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কলেজকে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব গ্রহণ করবে সেটি বোর্ডগুলো বাস্তবায়ন করবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় কমানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, পরীক্ষার খসড়া রুটিন এখন পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে তারিখ ঘোষণার পর পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করা হবে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে মতামত দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে বোর্ডগুলো সার্বিকভাবে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মঙ্গলের বিষয়টি সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।