জুমবাংলা ডেস্ক : ধানমন্ডির সুলতান’স ডাইনে ব্যবহার করা হচ্ছিল ২ মাস আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ মশলা! এমনটাই জানালেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম সচিব) মাহবুব কবির মিলন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, সুলতান’স ডাইন ধানমন্ডি শাখার কোন দরকার ছিল ২ মাস আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ মশলা ব্যবহার করার? টাকা পয়সার অভাব পড়েছে? এছাড়া কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নানা অনিয়মের কারণে করাই গোস্ট রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামান্যতম বিবেক জ্ঞান কি নেই তাদের?
তিনি বলেন, প্রতিদিন অনবরত অভিযান চালানো হচ্ছে সাত মসজিদ রোডে। আগের দিন জরিমানা বা শাস্তি দেয়ার পর মনে করি পরের দিন ভাল পাব। কিন্তু কোন রকম বোধদয় নেই এই এলাকার হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর। এতটাই সাহসী তাঁরা!
তিনি বলেন, এর আগে ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ারের ফুড কোর্টের খাবার দোকানগুলোর এতই খারাপ অবস্থা পাওয়া গিয়েছিল যে একসাথে ৯টি দোকানের বিরুদ্ধে মামলা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সীল করে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু শাটার বা তালা লাগাবার সুবিধা না থাকায় তা করা যায়নি।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে মাহবুব কবির মিলন বলেন, হয় নিরাপদ খাবার দেবেন আমাদের বাচ্চাদের, নয় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলবেন। দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই আপনাদের।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তনু চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটজাত হলুদের গুড়া ছাড়াও নোংরা পরিবেশে কেরোসিন তেলের পাশেই কাচ্চি বিরিয়ানির জন্য রান্না করা আলু পাওয়া যায় সেখানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।