বিনোদন ডেস্ক: ২০০৮ সালের আজকের দিনে (১৭ ফেব্রুয়ারি) মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আসলাম তালুকদার মান্না।
মান্নার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিনেতাকে স্মরণ করে আবগে ভেসেছেন শাকিব খান।
মান্নার শূন্যতা অনুভব করছেন জানিয়ে শাকিব খান লিখেছেন, ‘আমার সৌভাগ্য স্ট্রাগল পিরিয়ডে কয়েকটি চলচ্চিত্রে এই মানুষটার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরেছি।
ভীষণ মিস করি প্রিয় মান্না ভাইকে। ১৪ বছর দৃশ্যমান না থেকেও মান্না ভাই সব সময় আছেন আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থানে। আপনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। প্রিয় মান্না ভাই, যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন। ‘
মান্নার চরিত্রের একটি দিক ছিল প্রতিবাদী। বিষয়টি উল্লেখ করে শাকিব লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন মান্না ভাই। একেবারেই আনপ্যারালাল। তার প্রতিটি কাজে ছিল আলাদা সিগনেচার। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রির ভালোর জন্য কাজ করে গেছেন। ‘
ঢালিউডে একসময় অশালীন ছবি নির্মাণের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, তখনো মান্না নতি স্বীকার করেননি ৷ সে কথা জানাতেও ভোলেননি ‘নবাব’ অভিনেতা। অশ্লীলতা যখন চরমে, সমসাময়িক অনেকেই তখন চলচ্চিত্র থেকে সরে গিয়েছিলেন; তখনো হাল ছাড়েননি মান্না ভাই। দুঃসময়ে চলচ্চিত্রকে আগলে রেখেছিলেন। সে সময় উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র। দর্শকদের করেছিলেন হলমুখী। ‘
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৮৫ মান্নার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও মান্না নায়ক হিসেবে সফলতা পান ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাশেম মালার প্রেম’ দিয়ে।
‘রাজপথের রাজা’, ‘আন্দোলন’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘রুটি’, ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আম্মাজান’, ‘তেজী’, ‘লুটতরাজ’-এর মতো অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন মান্না ৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।