স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ এর পর আবারো সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ভারতের। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১৮ রানে হেরে দ্বাদশ বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধুলিস্যাত হয়ে গেছে ভারতের। দেখে নেওয়া যাক, শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচ হারার কারণগুলো কি কি?
ম্যানচেস্টারের এই পিচে ২৪০ রানও যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় দিনে ২৩ বলে ২৮ রান বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল। প্রথমদিন ভাল শুরু করলেও মাঝের ওভারে রান আটকাতে না পারা কাল হল। রস টেলরের ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে ২৩৯ তুলে দেয় নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপ শুরুর দিন থেকে ভারতের প্রতি ম্যাচে মিডল অর্ডার পালটেছে বারবার। এত দিন রোহিত, রাহুল ও বিরাট কোহালির ব্যাট কথা বলায় উতরে গেছে।
মোক্ষম দিনে ল অফ অ্যাভারেজের শিকার হলেন রোহিত। পরপর সেঞ্চুরির পর আজ ১ রানে তিনি ফিরে গেলেন শুরুতেই। সে ধাক্কা সাময়িক সামলে নিলেও হার আটকাতে পারলো না ভারত।
বড় ম্যাচে বিরাটের ব্যর্থতা ভারতকে ঠেলে দিল হারের কিনারায়। এই বিশ্বকাপে বারবার অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোলেও শতরান পাননি একটাও। সেমিফাইনালে ১ রানে ফিরে যাওয়ায় বিপদ বাড়ে।
ঋষভ পন্থের পরিণতি বোধের অভাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কিউইরা। যে সময় সিঙ্গেলস নিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার কথা ছিল সেই সময় হঠাৎ বড় শট নেওয়ার ভুল করে বসলো পন্থ। এই বিশ্বকাপে বারবার দেখা গিয়েছে ভারতের মিডল অর্ডারের ওপর নির্ভর করা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপে আসার আগে প্রশ্ন ছিল এই মিডল অর্ডার নিয়ে। যার উত্তর সেমিফাইনালে উঠেও পেল না ভারত।
ধোনির মন্থর ব্যাটিং বিপদ ডাকছিল মাঝে মাঝেই। কিন্তু আজ ইনিংস গড়ার কাজ করতে গেলেও শেষ করতে পারলেন না। বড় শট নেওয়ার ব্যর্থতা ডেকে আনলো বিপদ।
প্রতি ম্যাচে ব্যর্থ দীনেশ কার্তিক। সেমিফাইনালের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসেও নিজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলেন না তিনি।
বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া গাপ্তিলের ফিল্ডিং দক্ষতা কাজে লাগলো বারবার। আজও তার ডিরেক্ট উইকেট ভেঙ্গে ধোনিকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের হারের বড় কারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।