জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই যুগ পর আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ফজিলা খাতুন নেছা (৫৫) নামে এক নারী।
গতকাল শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর আড়াই টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেন তিনি।
ফজিলা খাতুন নেছা তিনি ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী গ্রামের খয়বর আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ফজিলা ২০০০ সালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। পরে, ২০২২ সালের ২২ আগস্ট ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ভারতের সন্ধান মিলে ফজিলা খাতুনের। তবে পরিবারের দাবি মানসিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় তিনি কিভাবে ত্রিপুরায় গিয়েছেন সেই তথ্য কেউ জানেন না।
ফজিলা মানসিক ভারসাম্য হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সে আগরতলার নরসিংগড় আধুনিক মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ায় ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহায়তায় দুপুর আড়াই টার দিকে নিজ দেশে ফিরেন ফজিলা। এ সময় শূন্য রেখায়, ফজিলার মেয়ে পিঞ্জিরা মেয়ের জামাই আব্দুল হালিম শেখসহ পরিবারের তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর পর ফজিলাকে পেয়ে মেয়ে পিঞ্জিরাসহ পরিবারে সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মা-মেয়ের এই দৃশ্য দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন সেখানে উপস্থিত সবাই। মেয়েকে ফিরে পেয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও পুলিশকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
এই সময় চেকপোস্টে ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব আল আমিন ও দ্বিতীয় সচিব রেজাউল করিম চৌধুরী, আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) হাসান আহমদ ভূঁইয়া, ইমিগ্রেশনের উপপরিদর্শক দেওয়ান মোর্শেদ, কুমিল্লা ব্র্যাক মাইগ্রেশানের সেক্টর স্পেশালিষ্ট সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলিং মো. ওসমান গণিসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।