বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রে। অত্যাধুনিক স্মার্ট ডিভাইস, জীবনমানের উন্নয়ন ও পরিবর্তন সবই হচ্ছে সময়ের সঙ্গে। তবে এসব আধুনিকতার সঙ্গে অভিযোজন করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা খাল কেটে কুমির আনার মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছি। চাকরির ধরনের পরিবর্তন ও ডিভাইস আসক্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দৈনিক রুটিন। কর্মক্ষেত্র গ্লোবাল হওয়ায় বিদেশি ক্লায়েন্টের কাজ করতে গিয়ে রাতের পর রাত জেগে হাজার ডলার ইনকাম করছি আমরা ঘরে বসেই।
আবার টিনএজারদের বড় একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কাজ করে রাত জেগে। এখন তো রাত জাগা যেন স্মার্টনেসের পরিচয়। আজ বন্ধুমহলে বলে দেখুন তো আপনি রাত ১০টায় ঘুমান আর ভোর ৫টায় ওঠেন। কত রকম নেতিবাচক কথা যে শুনতে হবে তার ইয়ত্তা নেই। আর গত কয়েক মাসে জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে এত বেশি বিপর্যয় ও অস্থিরতা চলছে যে রাতে ঘুম নেই অনেকেরই বহুদিন ধরে। সারারাতই কেটে যায় ইন্টারনেটে আর সামাজিক মাধ্যমে।
তবে এমনিতেও সময়ের সঙ্গে এই রাত জাগার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠছে প্রতিটি পরিবারে। আপনার ঘরের সন্তানটি কিন্তু বড় হয় আপনার আলোতেই। আপনি যদি রাত ২-৩টা পর্যন্ত জেগে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন, সে নিশ্চয়ই রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করবে না। যদি রাত-দিন একই হতো, তাহলে নিশ্চয়ই রাতে ঘুমিয়ে সকালে ওঠার নিয়মই থাকত না।
প্রতিদিন একটি নির্দির্ষ্ট রুটিন মেনে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা অনেক বেশি জরুরি। আমাদের শরীরকে যদি আপনি একটি যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে খাওয়া আর ঘুম হচ্ছে এর জ্বালানি। আমরা প্রত্যেকে সারা দিন কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি। হোক তা ঘরে কিংবা বাইরে। এরপর এই ক্লান্ত শরীরে যদি রাত জাগা হয়, তাহলে যে যন্ত্র সঠিকভাবে চলবে না, এটাই স্বাভাবিক। আর এই অনিয়ম যদি হয় নিয়মিত, তাহলে শরীরের পক্ষেও সব কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।