জুমবাংলা ডেস্ক : কোনো ছিনতাইকারী বা ম্যানহোলের ঢাকনা চোরকে ভোট না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) এর ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপকর্মের দুঃসাহস কেউ দেখাবেন না। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যদি করেন, তবে অবশ্যই ইলেক্টোরাল ল’ এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
আজ বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঢাকাবাসীদের বাইরে বের হওয়ার সময় ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার কথাও বলেছেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, গত নির্বাচনের চাইতেও এবার বেশি সংখ্যক র্যাব মোতায়েন থাকবে। ঢাকায় যে পাঁচটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের কমান্ডো, হেলিকপ্টার, বোম্ব ও ডগ স্কোয়াড রেডি থাকবে। আমরা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ে রাখবো। আজকে থেকেই আমরা নির্বাচনি দায়িত্ব শুরু হয়েছে। এখন থেকে ৫৬ ঘণ্টা আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবো।
তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যাতে নগরবাসী নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন। এবং যার যাকে ইচ্ছা এবং ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারেন। আমরা এই নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সব ধরনের হুমকি এবং ঝুঁকি পর্যালোচনা করেছি। কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে হতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কেউ অপপ্রচার করতে না পারে, সেজন্য আমরা খেয়াল রাখছি।
র্যাব প্রধান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, নগরবাসী খেয়াল রাখবেন যাতে কোনও ছিনতাইকারী, ম্যানহোলের ঢাকনা চোর শ্রেণির কোনও লোকজন যাতে নির্বাচিত হয়ে না আসতে পারে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যদি ম্যানহোলের ঢাকনা চোর যদি কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচিত হয়ে আসে তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের জন্য ঢাকার বাইরে থেকে প্রার্থীরা যাদের এনেছিলেন তাদের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। শান্তিপূর্ণ ভোট প্রত্যাশা করে তিনি বলেন,‘আগামীকাল ও ভোটের দিন এই নগর উন্মুক্ত থাকে শুধু ভোটারদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ক্যাম্পেইন করার জন্য ঢাকার বাইরে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে এসেছেন। ক্যাম্পেইন শেষ। আমরা আশা করবো আপনাদের কাজ শেষ, আপনারা এখন ঢাকা ছেড়ে যাবেন। যেহেতু আপনাদের ভোটিং রাইট নাই, খামাখা এখানে থাকার কোনও যুক্তি আছে বলে আমরা মনে করি না।’
আগামী শনিবার ঢাকার দুই সিটির মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুই সিটিতে মোট ১২৯ টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে নির্বাচনের জন্য ১ হাজার ২৮২টি ভেন্যুতে মোট ২ হাজার ৪৬৮টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইলেকশন কমিশন। দুই সিটিতে মোট ৫৪ লাখ ভোটার ৬৩ হাজার চার শতাধিক ভোটার রয়েছেন। এই নির্বাচন উপলক্ষে ১৩ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৫৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।