বরগুনায় প্রকাশ্যে রাস্তায় কু’পিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছিল রিফাত শরীফকে। এই ঘটনার যারা আসামি তারা প্রত্যেকেই মা’দক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
এমনকি নি’হত রিফাত শরীফও মা’দক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রিফাতকে একবার মা’দকসহ গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। সেই ভিডিওই সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে পুলিশ রিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে গালাগাল করতেও শোনা গেছে।
তবে নি’হত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলালের অভিযোগ, হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে তাকে মা’দক দিয়ে ফাঁসানোর জন্য নয়ন বন্ড ফাঁদ তৈরি করেছিল। এমনকি তাতে পুলিশের অংশগ্রহণ ছিল বলেও দাবি করেছেন দুলাল শরীফ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মিন্নি, নয়ন ও তিনজন পুলিশ অফিসার ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছিল।’
তবে পুলিশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ বছরের ২৬ এপ্রিল মিন্নির সঙ্গে বিয়ের ১৫ দিন পর ১১ মে রিফাতকে বরগুনার ৯ নম্বর ইউনিয়নের লাকুরতলা এলাকার একটি সড়ক থেকে গাঁজাসহ আটক করে বলে দাবি করে পুলিশ। এ ঘটনায় বরগুনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। এতে ১৭ দিন কারাগারে ছিলেন রিফাত।
রিফাত হ’ত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নিহত হয়েছে। তবে মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চারজন গ্রেপ্তার হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কু’পিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হ’ত্যা মামলা করেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।