বাংলাদেশ, ভারত, চীন সহ বিশ্বের অনেক দেশে ভাত বহুল প্রচলিত খাদ্য। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ভাত খেয়ে শর্করার চাহিদা মেটাতে ভাত খায়। তবে ভাত কি মানবদেহের জন্য উপকারী না অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর সেট নিয়ে বিতর্ক আছে।
চালের আঁশের আবরণ উঠিয়ে ফেলা হয় প্রসেসিং এর সময় যদিও এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে ভাত সহজে রান্না করা যায়। বাদামী চালে ফাইবার থাকায় সেখানে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। সাদা ভাতে ফাইবার থাকে না। তাই পুষ্টি উপাদান কম। সাদা চালে প্রোটিনও কম। পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে সাদা চালের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
১০০ গ্রাম সাদা চালে ১৩১ কিলোক্যালরি থাকে। পাশাপাশি ২.৮ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। আর প্রতি ১০০ গ্রাম বাদামী চালে ১৩২ কিলোক্যালরি থাকে। পাশাপাশি ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন ও ১.৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। সাদা চালের ভাত বেশি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এতে রক্তে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেড়ে যায়।
বাদামী চালের ভাত ওজন বাড়ায় না। ইনসুলিন এর মাত্রা সঠিক রাখে। প্রোটিনে এর পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি। সাদা চালের ভাত অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটকস এর ঝুঁকি থাকে। তাই পুষ্টিবিদরা বাদামী ভাত খেতে সবাইকে পরামর্শ দেয়।
ভাত খাওয়ার পর সাথে সাথে ঘুমানো উচিত নয়। কিছুটা কায়িক শ্রম করুন ও ৩ ঘন্টার মতো অপেক্ষা করুন। বাদামী ভাত ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার সহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। অনেক খেলোয়াড় পরিশ্রমের পর সাদা ভাত বেছে নেন। কেননা এটি দ্রুত শক্তির যোগান দেয় ও গ্লাইকোজেন পুনরুদ্ধার করে।
সাদা ভাত গ্যাস্ট্রিক এর উপকার করে। যাদের পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা আছে তাদের জন্য সাদা ভাত উপকারী। বাদামী ভাত হজমে সাহায্য করে ও অন্ত্রের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। বাদামী চালের আবরণে সামান্য আর্সনিক থাকতে পারে। এজন্য ভালোভাব চাল সিদ্ধ করে খেতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।