জুমবাংলা ডেস্ক : নিয়োগ জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. মো. খালেদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইউজিসির পূর্ণ কমিশনের ১৫৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ছাড়া কমিশনের বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সভায় ড. মো. খালেদের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছর ইউজিসির সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ বোর্ডে নিজে দায়িত্ব পালনকালে তার মেয়েকে প্রার্থী করা। ওই নিয়োগের প্রশ্নপ্রণয়ন এবং পরীক্ষার হলে এমনকি উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন মো. খালেদ। এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তৎকালীন ইউজিসির সদস্য ড. ইউসুফ আলী মোল্লার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে তার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে ইউজিসির পূর্ণ কমিশনের ১৫৬তম সভায় আলোচনা হয়।
অভিযোগ ছিল, ইউজিসির সহকারী পরিচালক পদে নিজের মেয়ে চাকরিপ্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও ড. মো. খালেদের তত্ত্বাবধানে চলে নিয়োগের বিভিন্ন কার্যক্রম। নিয়োগ কমিটিতে থাকার জন্য মেয়ের চাকরিপ্রার্থী হওয়ার কথা আগেভাগে জানাননি তিনি। এ ছাড়া নানা অজুহাতে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের নামে আগেই বাদ দেওয়া হয়। সচিবের অনুগত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির অধীনে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি এবং উত্তরপত্র মূল্যায়ণ করা হয়। আর পরীক্ষা নেওয়ার কাজে সচিব নিজেই জড়িত ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তীর্ণদের কম্পিউটার জ্ঞান পরীক্ষা এবং ভাইবা পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর আগে সচিবের একক প্রচেষ্টায় তারই তত্ত্বাবধানে গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সূত্র : আমাদের সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।