হাসান তনা, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লিপ্রোসি কেন্দ্রের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়েছে। সম্প্রতি এক দখলদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠালেও অন্যান্য দখলদাররা এখনও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ৭৪ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে বাস-মিনিবাস শ্রমিক অফিস, কোচিং সেন্টার, ওয়েলডিং কারখানা ও দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন দখলদাররা। গত ২০ সেপ্টেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু ওই সম্পত্তিতে তার নির্মিত রিকশা শ্রমিক অফিস ঘর সংস্কার করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। পরে তিনি ওইদিনই জামিনে ছাড়া পান।
এলাকাবাসী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা -কর্মচারীকে ম্যানেজ করে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন দখলদাররা। ফলে ওই সম্পত্তি দখলমুক্ত করার কোনও উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু বলেন, ওই সম্পত্তি ১১ জন ভূমিদস্যু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাস-মিনিবাস অফিসের নামে দখল করে রেখেছেন। আমাকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করার পর আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পুলিশকে দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা করছে।
অপর দখলদার ওয়েলডিং কারখানার মালিক আইয়ুব আলী বলেন, আমি মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে কারখানা নির্মাণ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সফি মাহমুদ জুমবাংলাকে বলেন, আমি লেপ্রোসি কেন্দ্রের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি পরিদর্শনে গিয়েছি। সব দখলদারকে স্থাপনা সরাতে বলেছি। আর এতে কাজ না হলে সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল জুমবাংলাকে বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করার পর পুলিশ ওই দখলদারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। অন্যান্যদের নামে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম জুমবাংলাকে জানান, কোনও অভিযোগ পাইনি। জায়গাটি দেখতে হবে। অবৈধ দখলদার থাকলে তাদের উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।