জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী প্রতিবাদী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত আরো একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পিবিআই। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া শাহাদাত হোসেন শামীমের দেখানো অনুযায়ী সেই মাদরাসার পুকুর থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল শনিবার। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। জাবেদ হোসেনের ব্যবহৃত বোরকাটি উদ্ধার করা যায়নি। তবে পুলিশ বলেছে, জাবেদের দেওয়া তথ্য মতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছিল। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে ২০ এপ্রিল আসামি সাইফুর রহমান জোবায়ের ওরফে জোবায়ের হোসেনের দেখানো মতে সোনাগাজী কলেজসংলগ্ন সোনাগাজী ডাঙ্গি খাল থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজত) মঞ্জুর করেন ফেনীর বিচার বিভাগীয় জ্যেষ্ঠ হাকিম মো. জাকির হোসাইন। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শাহাদাত হোসেন শামীম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বোরকা মাদরাসার পুকুরে ফেলেছে বলে পুলিশকে জানায়। রিমান্ডে থাকা আসামি জাবেদ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শামীম জানায়, মাদরাসার পুকুরের পূর্ব পাশে বোরকাটি ফেলে দিয়ে পাশের বাড়ির ওপর দিয়ে সে কলেজ রোডে চলে গিয়েছিল। পুকুরে তার দেখানো স্থানে তল্লাশি চালিয়ে কালো রঙের বোরকাটি উদ্ধার করা হয়।
পরে আসামি জাবেদ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ওই মামলায় জাবেদ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করলে আদালত দুই দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। একই দিন এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল ও ইফতেখার উদ্দিন রানার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৯ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার তখনকার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির চেষ্টা চালিয়েছিলেন গত ২৭ মার্চ। একই দিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন সিরাজের বিরুদ্ধে। ওই মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে পাশের ভবনের ছাদে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন নুসরাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।