বিনোদন ডেস্ক : নেটফ্লিক্সের মাসীহ মুভি সিরিজের অফিসিয়াল ট্রেলার নিয়ে কিছুটা রিভিউ এবং ডিকোডিং হলেও মুভিটা যখন রিলিজ হল, তারপর আর কোন রিভিউ চোখে পড়েনি।
একে একে মুভিটির ১০টি এপিসোড দেখার পর গত সাতদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এর রিভিউ দেখার জন্য। না পেয়ে অবশেষে নিজেই শুরু করলাম।
বছরের শুরুর দিন থেকে একাধারে ৫ রাত জেগে নেটফ্লিক্স এর মুভি সিরিজ ’ মাসীহ ‘ এর প্রথম পর্বের ১০ টি এপিসোড দেখলাম। মিশেল পেট্রনির পরিচালনায় মুল চরিত্রে ‘মেহদি ডেবহি’র অসাধারণ অভিনয়ের এই মুভিতে দাজ্জাল আগমনের প্রাথমিক পটভুমি এবং দজ্জালের প্রাথমিক পর্যায়ের একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরির সেলুলয়েড হ্যালুসিনেশন ক্রিয়েট করা হয়েছে।
মোটকথা পৃথিবীতে দজ্জালের আগমন এবং তার সময়কে পজিটিভলি প্রমোট করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
দর্শক হিসেবে কখনো মনে হয়েছে ইসা (আ:) এর আগমনকে প্রমোট করা হচ্ছে। তবে সিনেমার ১ম পর্বে রিলিজ হওয়া ১০টি এপিসোডের শেষ পর্যন্ত দেখে মনে হয়েছে দজ্জালকে প্রমোট করার জন্যই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে।
প্রতিটি এপিসোডে দজ্জালকে সুপার হিরো হিসেবে প্রমোট করার প্রবণতা মনে হয়েছে আমার কাছে।
তবে একেবারে শেষ দেৃশ্যে যখন ” ফলস গড ” লেখা ওয়াল রাইটিংটি পুড়ে যাচ্ছিল , তখন মনে হয়েছে আসলে এই সিনেমার মাধ্যমে দজ্জালকেই প্রমোট করা হয়েছে।
সিনেমাটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে দেখানো হয়েছে মাসীহ মৃত মানুষকে জীবিত করছেন। বিশেষ করে ১০ম এপিসোডের শেষ দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে প্লেন ক্রাশ হওয়ার পর মাসীহ জীবিতই থাকলেন এবং তিনি সকল মৃত মানুষকে আবার জীবিত করে তুললেন। এটা দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে দাজ্জালকেই প্রমোট করা হচ্ছে।
আমি মুলত তালাশ করতেছিলাম যে, এই সময়ে নেটফ্লিক্সের এই মাসীহ নির্মানের উদ্দেশ্য কী ?
আশা করছি পাঠশালার বন্ধুরা মাসীহ’র রিভিউ লিখবেন।
তাতে করে এই সিনেমা তৈরির মুল উদ্দেশ্য বুঝা যাবে। সূত্র : বাংলাদেশ টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।