নেপালে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের আলোচনা চলছে এবং এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেলের কার্যালয়। শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজা রাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি আনাদোলুকে টেলিফোনে বলেন, সংশ্লিষ্ট কার্যালয় বিষয়টি দেখছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পাওডেল সব পক্ষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবাদকারীদের দাবি পূরণের জন্য প্রচেষ্টা চলছে।গত সোমবার থেকে চলা সহিংস আন্দোলনে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুলিশ সদস্য, ২১ জন প্রতিবাদকারী, ১৮ জন সাধারণ মানুষ ও ৯ জন বন্দি।
সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলও এ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন বলে জানান মুখপাত্র রাজা রাম। তবে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসন কবে নাগাদ গঠিত হতে পারে—এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো—নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল এবং সিপিএন (মাওবাদী)—বলেছে, নতুন সরকার অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী হতে হবে এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া যাবে না। তবে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন।এদিকে জল্পনা চলছে যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের নেতৃত্বে আনতে পারেন প্রেসিডেন্ট পাওডেল।দেশব্যাপী সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। মঙ্গলবার রাতে জারি হয় কারফিউ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্থিরতার সময় প্রায় ১৪ হাজার বন্দি কারাগার থেকে পালিয়েছে।
“https://inews.zoombangla.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%9a%e0%a6%a8/”
তবে আহতদের বেশিরভাগই এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মুখপাত্র রাজা রাম বলেন, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।