আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালে চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক জন ভারতীয় ও চীনের দুজন শ্রমিকও রয়েছেন। উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন তারা। এছাড়াও ২৫ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খবর রয়টার্স’র।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে উত্তর-পূর্বের সিন্ধুপালচক জেলার মেলামচি শহর থেকে তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার সেখানে বন্যা শুরু হয়। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
জেলার সরকারি কর্মকর্তা বাবুরাম খানাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বন্যায় যে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তারা চীনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন। চীনা ওই কোম্পানি সেখানে সুপেয় পানির একটি অবকাঠামো নির্মাণ করছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বন্যা দেখা দেওয়ার পর সিন্ধুপালচক জেলার ২৫ জন মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হিমালয়ান এই জেলাটির সঙ্গে চীনের তিব্বতের সীমান্ত রয়েছে।
সাধারণত, জুনে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকালে ভারী বর্ষণ হয়। এতে করে শুরু হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে প্রতিবছর নেপালে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যদিও দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল পাহাড়বেষ্টিত। তারপরও বন্যা মারাত্মক আকার নেয়।
গত বুধবার থেকে নেপালজুড়ে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, সেতু ভেঙে পড়েছে, মাছের খামার প্লাবিত হয়ে অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পশুপাখিও বানের পানিতে ভেসে যেতে দেখা গেছে। ভেঙেছে বাড়িঘর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।