জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে কোমলপানীয়ের সঙ্গে নে’শাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গণধ’র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় রিয়াজুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরী তার গ্রাম থেকে পাশের একটি গ্রামে যাওয়ার জন্য রিকশায় ওঠে। সে সময় একই গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে রিকশাচালক রিয়াজুল ইসলাম (১৮) জানান, তিনিও ওই গ্রামে যাবেন। পরে রিয়াজুল এবং ওই কিশোরী একই রিকশায় উঠে ওই গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে রিয়াজুল ও তাদের রিকশারচালক রাসেল মিয়া কিশোরীকে কোমলপানীয় সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর মা জানান, তার মেয়েকে রিয়াজুল ও রিকশারচালক রাসেল মিয়া কোমলপানীয় সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধ’র্ষণ করেছেন। পরে তাকে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে কিশোরীর রক্তক্ষরণ হলে শনিবার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় রিয়াজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।