জুমবাংলা ডেস্ক : রাত যত গভীর হয় চলনবিলের প্রমোদ তরীগুলো ততোই গহীন বিলে চলে যায়। এরপর শুরু হয় ভাড়াটিয়া নর্তকীদের উদ্দাম নৃত্য আর অশ্লীল কর্মকাণ্ড। চলতি বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলে নৌ ভ্রমণ ও ভুড়ি ভোজনের আড়ালে এভাবেই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। গত বুধবার একটি নৌকা থেকে দু’নর্তকীকে আ’টক করে পুলিশ।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার হান্ডিয়াল ও নিমাই চড়া বিলে, বেশিরভাগ নৌ ভ্রমণের নৌকার সামনে দৃষ্টিকটু পোশাকে থাকে নর্তকীরা। সিনেমা স্টাইলে নর্তকীকে সঙ্গ দেয় যুবক ও তরুণেরা। গান ও বাদ্যযন্ত্রের তালে চলে এ নৃত্য। ছাউনির ভেতরেও চলে নাচ। সেখানকার পরিবেশটা আরও আশ্লীল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কথিত এসব নর্তকীরা মূলত যৌনকর্মী। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে টাকার বিনিময়ে এদের আনা হয়।
এলাকাবাসী জানান, নর্তকী থাকা নৌকাগুলো রাতে চলনবিলের গভীর চলে যায়। রাতভর বিলেই থাকে এগুলো। রাত যত গভীর হয়, নৃত্যের সাথে সাথে অশ্লীলতাও বাড়তে থাকে। কিছু কিছু নৌকায় চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এ ধরণের নৌকাগুলার বেশিরভাগ অংশ কৌশলে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখেন নৌ মালিকেরা।
নিমাইচড়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এসব নর্তকীর কারণে পরিবারও স্বজনদের সাথে নৌকা ভ্রমণে আসলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় দর্শনার্থীদের।
হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাধ্য হয়ে গ্রাম পুলিশ দিয়ে টহল দেয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। তবে, ওরা সংখ্যায় বেশি। তাই আশানুরুপ কিছু করা হচ্ছে না। গত বছর ৪ নর্তকীকে আ’টক করে পুলিশে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও এদের থামানো যায়নি।
হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার দুই নর্তকীকে আ’টক করে চাটমোহর থানায় হস্তান্তর করেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালে এ অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বাংলাদেশ জার্নালকে বললেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হবে। কোন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।