জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী বাজারের আশরাফুল উলুম জানাতুল মাওয়া মহিলা কওমী মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায় আদালতে স্বীকার করেছেন শিক্ষক আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে পুলিশ পাহারায় নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগর মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে অন্তঃস্বত্ত্বা ছাত্রীকে কলা খাইয়ে পরিকল্পিত গর্ভপাত ঘটানোর কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। পরে বিচার তাকে নেত্রকোণা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর কেন্দুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে সাগরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, বছরে ২০ হাজার টাকায় জায়গা ভাড়া নিয়ে রোয়াইলবাড়ি বাজারে দুই বছর আগে ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় লোকজন আব্দুল হালিম নেওয়াজ ওরফে সাগরকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক নিয়োগ দেন। ওই মাদ্রাসায় আবাসিক কক্ষে প্রায় ৩০ ছাত্রী থাকে। শিক্ষক সাগর এবং তার স্ত্রী দুজনই ওই মাদ্রাসায় থেকে পড়াশুনা করাতেন। এক পর্যায়ে সাগর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে । পরে শিক্ষক সাগর গত জানুয়ারির ২য় সপ্তাহে গর্ভপাত করানোর জন্য কলার সঙ্গে মিশিয়ে ওষুধ সেবন করায়। এতে ওই ছাত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই বিষয়টি জানাজনি হয়। পরে গত ১৯ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তাকরী কর্মকর্তা পুলিশের পেমই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ওই ছাত্রী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।