পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো ও বাজার নজরদারি জরুরি : ডিসিসিআই সভাপতি

পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো

পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোজুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন রমজানের আগে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাড়ানোর উদ্যোগ কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ। এ ছাড়া বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দূর করতে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর কথাও জানান তিনি। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রাপ্তি ও সহনীয় মূল্য নিশ্চিত করতে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো ও বাজার নজরদারিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ এসব কথা বলেন।

এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ কিছু খাতে সংস্কার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা, রাজস্বকাঠামো, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক নীতিমালা, জাতীয় বাজেট ও মুদ্রানীতিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের বিকল্প নেই।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, ২০২৪ সালে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন-পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারেনি। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে ‘বাস্তবভিত্তিক উত্তরণ কৌশল (স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি-এসটিএস)’ প্রণয়ন করা আবশ্যক। পাশাপাশি এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অস্থিরতা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রত্যাশিত বন্যার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এরই মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই পরিস্থিতির উত্তরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টার আশাবাদ, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। সম্প্রতি চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান কর আহরণের হার ও করজাল সম্প্রসারণের বিকল্প নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

আ. লীগের আমলে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া মায়ের সন্ধান পাননি মেয়ে : গুম কমিশন