জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে সরাসরি তার পদত্যাগ দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। তারা সিইসিকে বলেন, ‘দেশে নির্লজ্জের মতো ভোট হয়েছে। এই অবস্থায় আপনার সিইসি পদে থাকাটা সমচিত নয়। আমরা আপনার পদত্যাগ দাবি করছি।’ এসময় সিইসি বলেন, ‘ঠিক আছে, আলহামদুলিল্লা।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছেই দুই সিটি নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে সিইসির পদত্যাগ দাবি করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। এসময় দলটির দুই সিটির মেয়র প্রার্থীসহ ৬ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। সিইসির সঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সিইসির উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আমরা হতাশ, জনগণও হতাশ। আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দিতে না পারে তাহলে দেশে রাজনীতি থাকার কি দরকার? রাজনৈতিক দলেরও কোনো প্রয়োজন নাই। দেশে একদলীয় শাসন দিয়ে দিলেই হয়। মানুষ যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে আমরা কেন রাজনীতি করবো?’
আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেশটা চলুক। মানুষ তার অধিকার ফিরে পাক উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘জনগণের মতামত নিয়ে দেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু বর্তমানে জনগেণের মতামতের কোন মূল্য নেই। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এই কথাগুলো আমরা আপনাদের কাছে বলার জন্যই এসেছি। এই নির্বাচন পরিচালনার ব্যপারে আপনার দায়-দায়িত্ব আছে। আমরা আশা করবো আপনি আর এই জাগায় থাকবেন না। যেহেতু আপনার মান-ইজ্জতের প্রশ্ন, অতএব আপনি এই অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাটা আমরা সমীচিন মনে করছি না। এই গ্লানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের থাকাটা মোটেও উচিত হবে না।’
সিইসি এসময় মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। এরপর সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘আপনাদের কথাগুলো কি লিখিত আছে? তখন গাজী আতাউর রহমান বলেন,‘ হ্যাঁ, এগুলো লেখা আছে। এগুলো জনগণের কথা তাই আমরা বলছি।’
এসময় সিইসি বলেন, ‘ঠিক আছে আলহামদুলিল্লা।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়েছি। গত জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও এবার নির্লজ্জ ভোট হয়েছে। বাংলাদেশে নির্বাচন উৎসব হলেও এবং ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে উৎসাহিত করার ঐতিহ্য থাকলেও আজ আমাদেরকে তার সম্পূর্ণ বিপরিত চিত্র দেখার নির্মম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো। ভোট কেন্দ্রে আমাদের মেয়র প্রার্থীদের প্রবেশ করতে না দেওয়া, সরকারদলীয় লোকজনের আতঙ্ক ছড়ানোর মহড়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও মারধর করাসহ নানা অনিয়মে নির্বাচন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।’
অন্যদিকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।