পর্দা মেনে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন নাইজেরিয়ান নারী উদ্যোক্তা

পর্দা মেনে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন নাইজেরিয়ান নারী উদ্যোক্তা

পর্দা মেনে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন নাইজেরিয়ান নারী রন্ধনশিল্পী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পর্দা মেনে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন নাইজেরিয়ার এক মুসলিম নারী রন্ধনশিল্পী। সামাজিক মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে তার রান্নার ভিডিও। এছাড়া শেরিফাহ ইউনুস নামের এই নারীর মসলার দোকানও বেশ জনপ্রিয় স্থানীয়দের কাছে। সকল সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা।

পর্দা মেনে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন নাইজেরিয়ান নারী উদ্যোক্তা

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখেন শেরিফাহ ইউনুস নামের নাইজেরিয়ান। আর এভাবেই অনলাইনে কেক ও মশলা তৈরির ভিডিও বানিয়ে পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এর বাইরেও সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও রয়েছে তার পরিচিতি।

নাইজেরিয়ায় এখনও নারীদের ব্যবসা করাকে বাঁকা চোখে দেখা হয়। এছাড়া দেশটিতে পর্দানশিন মুসলিম নারীদেরও মুখোমুখি হতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতার, শুনতে হয় কটূক্তি। শেরিফাহ’র দাবি, পর্দার কারণে তাকেও তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হতে হয়েছে।

সব বাধা পেরিয়ে প্রায় দুই দশকের পরিশ্রমের পর শেরিফাহ এখন একজন সফল উদোক্তা ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। শেরিফাহ’র মসলার দোকান তার এলাকার সবচেয় সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কারও জিতেছে। অনলাইনে তার তৈরি ভিডিও দেখে হাজার হাজার অনুসারী।

শেরিফাহ ইউনুস বলেন, নাইজেরিয়া পর্দা করার কারণে নিজেকে প্রমাণের জন্য অন্য মেয়েদের চেয়ে আমাকে বেশি কাজ করতে হয়। আমার ব্র্যান্ড এখন সবাই চেনে। কিন্তু এ পর্যায়ে আসতে অন্যদের চেয়ে আমার বেশি সময় লেগেছে, শুধুমাত্র আমার পোশাকের কারণে। তের বছর ধরে আমি মশলার ব্যবসা করছি আর কেক ও পেস্ট্রির ব্যবসার সাথে যুক্ত আঠারো বছর ধরে।

নিজের এই সাফল্যের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের পর্দা নিয়ে আশপাশের মানুষের নেতীবাচক ধারণা বদলে দিতে চান তিনি।

তিনি বলেন, আমি অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করতে চাই। আমার অবস্থান নিয়ে আমি গর্বিত। আমার কারণে এখানে মুসলিম নারীদের আরও বেশি সম্মান দেয়া হচ্ছে। আমি মানুষকে এটাই বোঝাচ্ছি, মুসলিম নারীদের সম্পর্কে তাদের যে ধারণা তা সঠিক নয়।

শেরিফাহ’র দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। পর্দানশীন মুসলিম নারীরাও যে সফল হতে পারে তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে মানুষ।