ট্রাভেল ডেস্ক : ঈদের দিন থেকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ভিড় লেগে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও সাগরের নোনাজল আর বর্ণিল প্রকৃতির ছোঁয়ায় মনকে প্রাণবন্ত করতে দেশের অপরাপর পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মতো কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিতে এখানকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোও সাজানো হয়েছে। এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত। ঈদের ছুটিতে কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে কুয়াকাটার বেলাভূমিতে আগমন ঘটেছে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুর। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে পর্যটকরা উপভোগ করছেন ঐতিহ্যবাহী কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, আড়াইশত বর্ষীয় নৌকা, ইলিশ পার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, ঝাউবন, লেম্বুর চর, চর গঙ্গামতী, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, ফাতরার বন, সীমা বৌদ্ধবিহার ও রাখাইন পল্লীর নয়নাভিরাম দৃশ্য। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া সৈকতসংলগ্ন ভাসমান একাধিক ব্যবসায়ী বসেছেন নানা ধরনের খাবারের পসরা নিয়ে।
ঢাকা থেকে আসা নাজমা ইসলাম বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই প্রথম কুয়াকাটায় এলাম। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে এখানের লাল কাঁকড়া ও রাখাইনদের সংস্কৃতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সবকিছুই সুন্দর লাগছে। গাজীপুরের সেলিম মাহমুদ বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় এসেছি ঘুরতে। এখানে এসে বেশ মজা করছি, আনন্দ করছি। খুবই ভালো লাগছে, অসাধারণ একটা পর্যটনকেন্দ্র।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এবারে ঈদে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য সব আয়োজনে রয়েছে বিশেষ ছাড়। তাই হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি মো. সোহেল আহ্মেদ জানান, পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেল্পডেস্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।