আর মাত্র তিনদিন পর ২১ জুলাই বুধবার ঈদ । এর মধ্যে আজ জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের সবচেয়ে বড় রাজনগড় পশুর হাট। তিব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে রোববার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গরু ছাগল বেচাকেনা। ক্রেতার বিক্রেতার ভীড় জমেছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে। তবে গরুর দাম নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন আজকের হাটে গরুর দাম বেশি বিক্রেতারা বলছেন গত হাটগুলোতে যে দামে গরু বিক্রি হয়েছে সেই মুল্যে গরু বিক্রয় করতে পারছেনা।
স্বাস্থ্যবিধি বলতে শুধুমাত্র মাস্ক পড়তে দেখা গেছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে তবে সামাজিক দূরত্ব নেই । একজন অপরজনের গাঁ ঘেঁষে সমাগম করছে।সরেজমিনে গিয়ে রাজনগড় পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, তিন জায়গায় পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্বে যে জায়গায় হাট বসানো হয়েছিল সেখানে ষাড় গরু বিক্রয় করা হচ্ছে, ছোট বড় মাঝারি ধরনের বিভিন্ন জাতের ষাড় গরু নিয়ে এসেছে ক্ষুদ্র খামারিরা। ষাড় গরু দিয়ে ভরে গেছে । ক্রেতাও এসেছেন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান হতে।
একটি গরু ক্রয়ের জন্য তিন থেকে চারজন এসেছে। বিশেষ করে মাঝারি ষাড় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় বিক্রেতারা। সেখানে চাকলাহাট এলাকা থেকে আসা আব্দুল্লাহ নামে ক্ষুদ্র গরু জানায় তিনটি বলদ গরু নিয়ে এসেছি গত বৃহস্পতিবারের হাটে দাম উঠেছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা কিন্তু আজকের হাটে বিক্রি করলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
মলিন্দ্রনাথ নামে এক আটোয়ারি এলাকার খামারি জানায় আমি দুইটি বলদ নিয়ে এসেছি গত বৃহস্পতিবারের হাটে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাম উঠেছিল কিন্তু আজ ১ লাখ ৩১ হাজার বিক্রি করলাম। কুরবানির গরু ক্রয় করতে আসা জগদল এলাকার হেলাল নামে এক ক্রেতা জানায় আমি মাঝারি জাতের গরু ক্রয় করবো। যে গরুগুলোর গোশত ২ মন হবেনা কিন্তু দাম ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। গত হাটগুলোর তুলনায় দাম বেশি। পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার রফিকুল ইসলাম জানায় আজকের হাটে ষাড় বলদ গরুর দাম বেশি। এভাবেই ক্রেতার বিক্রেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে চলছে গরু ক্রয় বিক্রয়।
এদিকে রাজনগড় হাট ইজারাদারের অধীনে পঞ্চগড়-টুনিহাট সড়কের উত্তর পার্শে জনবসতি এলাকার ফাঁকা জায়গায় গাভি গরু ক্রয় বিক্রয় চলছে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই । সকাল থেকে সেখানেও ক্রেতা বিক্রেতার ভীড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা বলছে দাম বেশি বিক্রেতারা বলছে দাম বেশি। পূর্ব জালাসি জামে মসজিদের সামনেও গরুর সাথে ছাগল বেচাকেনা চলছে সকাল হতে। বিভিন্ন জাতের ছাগল বিক্রয়ের জন্য হাটে এসেছে বিক্রেতারা তবে খাসী ছাগলের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দামের মধ্যে খাসি ছাগল বেশি বিক্রয় হচ্ছে।
পশুর হাট নিয়ন্ত্রনে পুলিশ দুটি কন্ট্রোল রুম রয়েছে , সেখানে দুইজন উপপরিদর্শক সহ তিনজন পুলিশ সদস্য তদারকি করছেন। গাভী বিক্রয়ের সামনে কন্ট্রোল রুমটিতে রয়েছে পঞ্চগড় সদর থানার উপ পরিদর্শক জোহা এবং ষাড় বিক্রয়ের সামনে কন্ট্রোল রুমে রয়ে উপ পরিদর্শক ভবেশ চন্দ্র রায়। তারা আইন শৃংখলা, স্বাস্থ্যবিধি, এবং জাল নোট নির্নয়ে মেশিন দিয়ে তদারকি করছেন।
এদিকে দুটি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দশজন কর্মচারি। তবে সরেজমিনে ওই কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। একজন ভেটেরিনারি মাঠ সহকারি মো. রেজাউল করিমের সাথে দেখা হলে তিনি জানায় দুপুর তিনটা পর্যন্ত ৫০ জন বিক্রেতার তালিকা করেছি তাদের গরুগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।