জুমবাংলা ডেস্ক : ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই শিশুর স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসায় অবহেলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঝালুরচর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের ৯ দিন বয়সী কন্যা সামিয়াকে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির পর স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শিশু সামিয়া মারা যায়। শিশুর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোনো চিকিৎসক ছিলো না। নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায়নি।
সামিয়ার নানী আজিমা বেগম জানান, তার নাতীকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ৮টার পর শিশুটি ৩ বার হেঁচকি দিলে নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি। এরই কিছু সময় পর মৃত্যু হয় শিশুটির।
সামিয়ার মৃত্যুর ৫ মিনিট পর মারা যায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি ইসলামপুরের গুঠাইল এলাকার কৃষক সোবাহান মিয়ার দুই দিনের কন্যা শিশু। ওই শিশুকে ভর্তি করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে।
শিশুটির নানী ফরিদা বেগম জানান, শিশু সামিয়া মারা গেলে তার নাক থেকে অক্সিজেন খুলে সোবাহানের কন্যা শিশুর নাকে লাগানোর পর পরই মারা যায়। এ সময় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ছিলেন না।
মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে দুই শিশু মারা গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ৭০ জন শিশু ভর্তি আছে। দুই শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। স্যালাইন বা অক্সিজেন দেয়ার কারণে মারা যাবার কোনো কারণ নাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।