জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আবরারকে পিটিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হ’ত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হ’ত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে সিসিটিভির যে ফুটেজ থেকে হ’ত্যাকারীদের চিহ্নিত করার কথা বলছে পুলিশ, বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেই ফুটেজ প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
কিন্তু এই ফুটেজ প্রকাশ করা হলে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে এর জন্য সময় চাওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বুয়েটের ছাত্র প্রতিনিধিরা পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রের দাবি, আবরারকে রোববার ৮টার দিকে শের–ই–বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতা। তারা আবরার ফাহাদের মুঠোফোন চেক করে শিবির-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খোঁজেন। একপর্যায়ে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করেন তারা। পরে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই কক্ষে গিয়ে আবরারকে আরেক দফায় পেটান। এতে তার মৃ’ত্যু হলে রাতে সহপাঠীদের ডেকে লা’শ সিঁড়ির নিচে রাখতে বলা হয়।
সূত্রটির দাবি, এ ঘটনার মূলে ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ। এছাড়াও ছিলেন, সরাসরি মারধর করেছেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।
তবে ওই সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, আবরারকে পিটিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হ’ত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হ’ত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।