জুমবাংলা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশে পাকিস্তানের নৃশংসতার বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় সাইকেল র্যালি ও প্রতিবাদ সভা করেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানের নিকুঞ্জ (পুলিশ প্লাজা) থেকে গুলশান ২ ও ইউনাইটেড হসপিটাল হয়ে সাইকেল র্যালিটি পুলিশ প্লাজার সামনে এসে শেষ করা হয়। র্যালি শেষে সেখানে এক প্রতিবাদ সভা হয়। এর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের নৃশংসতার চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। কর্মসূচিতে সংগঠনের মহসচিব ও গাজী টিভির প্রযোজক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন মাদার জান্নাত ফাউনইেশনের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদুল হক ছালেক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান, সোশ্যাল এক্টিভিস্ট হাফিজ শম্ভু, সংগঠক এম এইস মিল্টন ও ছাত্রনেতা সুকান্ত ভট্টাচার্য।
সমাপনী বক্তৃতায় তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, ‘১৯৪৭ এ ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মায়ের ভাষার বিরুদ্বে অবস্থান নিয়ে তাদের স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে। পরবর্তিতে এদেশে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে তারা বল প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। বাঙ্গালির আন্দোলন আরও বেগবান হলে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার ও সফিউলসহ অনেকে শহীদ হন। আহত হন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। কিন্তু তারপরও দমাতে পারেনি বাঙ্গালির সেই আন্দোলনকে। বাঙ্গালি বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা স্বীকৃতি পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সেই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গর্ব করার বিষয়। ভাষা আন্দোলনে বিজয়ের পর ১৯৭১ সালে পাক হায়েনাদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য এদেশ থেকে তাদের আমরা বিতারিত করি। আর এ পরাজয়ের গ্লানির শোকে তারা প্রতিনিয়ত প্রতিশোধের নেশায় মেতে রয়েছে। তাদের এদেশিয় দোসরদের দ্বারা প্রতিনিয়ত বাঙ্গালির ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তফছির বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। পাকিস্তান কখনও বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। তারা সর্বদাই বাঙ্গালির অস্থিত্বকে আঘাত করেই যাবে। আমরা পাকিস্তানি হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবি করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।