স্পোর্টস ডেস্ক: এবার পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে বোমা ফাটালেন দেশটির সাবেক পেসার রানা নাভেদ-উল হাসান। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইচ্ছাকৃতভাবে কম পারফর্ম করেন কিছু পাক ক্রিকেটার।
স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলকে নাভেদ বলেন, এসব ক্রিকেটার নিজেদের সর্বোচ্চ সক্ষমতানুযায়ী পারফর্ম করেনি। কারণ, তারা ইউনিস খানের নেতৃত্বে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতো না।
তিনি বলেন, ওই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে আমরা দুটি ওয়ানডে হেরেছিলাম। কারণ, স্ব-প্রণোদিত হয়ে কয়েকজন খেলোয়াড় সেরা পারফর্ম করেনি। ওই সফরে আমাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। সফরের স্কোয়াডেই রাখা হয়নি। কারণ, ইউনিসকে বলেছিলাম, তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এবং আমাকেও সেই চক্রান্তের অংশ বানানো হচ্ছে।
ডানহাতি সাবেক পাকিস্তানি পেসার বলেন, ইউনিসের বিরুদ্ধে অবশ্য এটি বিদ্রোহ ছিল না। সে ছিল দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং ভালো মানুষ। তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমি খেলেছি। কিন্তু ও যখন অধিনায়ক হয়, তখন তার আচরণ ও মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। মাঠে নিজে যেটা ভালো মনে করতেন, সেটারই প্রয়োগ ঘটাতেন।
৪২ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, ইউনিস সিনিয়রদের কোনো তোয়াক্কা করতেন না। তাই ষড়যন্ত্র ছাড়া তাকে হটানোর কোনো বিকল্প পথ তাদের সামনে খেলা ছিল না। এ কুৎসিত চক্রে ছিল সাত/আটজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তারা অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিল। ভবিষ্যতে কেউ কেউ হয়েছেও।
উল্লেখ্য, ওই সময় পাস্তিানের সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ইউসুফ ও শোয়েব মালিক।
ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৮ রানের বিশাল ব্যাবধানে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও ২-১ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচ সিরিজ হারে তারা। শেষ দুটি ওডিআই যথাক্রমে ৬৪ ও ৭ রানে পরাজিত হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে/ক্রিকেট পাকিস্তান ডটকম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।