 স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিপক্ষ ছোট, তবে চ্যালেঞ্জটা ছিলো অনেক বড়। সেই বড় চ্যালেঞ্জ সহজেই জিতলো বাংলাদেশ। উল্টো পাত্তাই পায়নি বিশ্বকাপের শুরুতে আলোচনায় থাকা বিশ্ব ক্রিকেটের উদীয়মান এই শক্তি। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তা ও সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেটের বোলিং ঘূর্ণিপাকে পুরো ম্যাচে সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি গুলবাদিন-রাশিদদের আফগানিস্তান। খবর : ইত্তেফাক
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিপক্ষ ছোট, তবে চ্যালেঞ্জটা ছিলো অনেক বড়। সেই বড় চ্যালেঞ্জ সহজেই জিতলো বাংলাদেশ। উল্টো পাত্তাই পায়নি বিশ্বকাপের শুরুতে আলোচনায় থাকা বিশ্ব ক্রিকেটের উদীয়মান এই শক্তি। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তা ও সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেটের বোলিং ঘূর্ণিপাকে পুরো ম্যাচে সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি গুলবাদিন-রাশিদদের আফগানিস্তান। খবর : ইত্তেফাক
এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থান পুনরুদ্ধার করলো বাংলাদেশ। এক ম্যাচ কম খেলা ইংল্যান্ড আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে। ছয় ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে শ্রীলঙ্কা। টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ড ছয় ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।
সোমবার ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। মুশফিকুর রহিমের ৮৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে ২৬২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০০ রানে থামে আফগান ইনিংস। ৬২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান পাঁচ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন আফগানিস্তানের টপ অর্ডার।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুলবাদিন নায়েব ও রহমত শাহ। ৪৯ রানের মাথায় প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ২৪ রানে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন রহমত শাহ। হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিলেন গুলবাদিন নায়েব। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে ফিরিয়ে আফগানদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৯তম ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিপাকে গুলবাদিন নায়েব ও মোহাম্মদ নবী সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু সাকিবের উইকেট ক্ষুধা তখন মেটেনি। ১১৭ রানের মাথায় আসগর আফগানকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন সাকিব।
সপ্তম উইকেট জুটিতে সামিউল্লাহ সিনওয়ারি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান প্রতিরোধ গড়তে চাইলেও তা দীর্ঘ হয়নি। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে স্ট্যামপিংয়ের ফাঁদে ফেলে ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। সেই সাথে তুলে নেন নিজের পঞ্চম উইকেট। আফগানিস্তানের সংগ্রহ তখন ১৮৮/৭। শেষ দিকে দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগান ব্যাটিং লাইনের শেষ পালকও উপড়ে ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয়। মুজিব উর রহমানের বলে হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে ক্যাচ দেন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে খেলেন ৫৯ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটান মোহাম্মদ নবী। ৩৬ রান করা সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে ফেরান তিনি। দলীয় ৮২ রানের মাথায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।
এরপর মুশফিক-সাকিবের ৬১ রানের জুটি আফগানদের আরেক দফা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ যাত্রায় আফগানদের রক্ষা করেন মুজিব উর রহমান। সাকিব আল হাসানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল থেকে ৫১ রান করে এই আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্থান পুনর্দখল করেন সাকিব। দলীয় স্কোরে ৩ রান যোগ করে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে দলীয় ১৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সৌম্যকে ফিরিয়ে তৃতীয় শিকারের দেখা পান মুজিব। এ চাপও কেটে যায় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ৫৬ রানের জুটিতে। দলীয় ২০৭ রানে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। গুলবাদিন নায়েবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক-মোসাদ্দেকের দ্রুতগতির ৪৪ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় টাইগাররা। মুশফিক আউট হন ব্যক্তিগত ৮৩ রানে। মুজিব উর রহমান তিনটি এবং মোহাম্মদ নবী, দওলত জাদরান ও গুলবাদিন নায়েব একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।

 


