জুমবাংলা ডেস্ক : মর্নিং বার্ড থেকে জীবিত উদ্ধার যাত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠছে। ১৩ ঘণ্টা পানির নিচে জীবিত থাকার বিষয়টি অনেকেই অস্বাভাবিক বলছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। ভ্যাকুয়াম তৈরি হওয়ায় তিনি শ্বাস নিতে পেরেছেন।
লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার যাত্রী সুমন ব্যাপারীকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। কেউ কেউ ১৩ ঘণ্টা পানির নিচে বেঁচে থাকাকে অলৌকিক বলছেন। উঠেছে দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে ভণ্ডামির অভিযোগও।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। অক্সিজেন আছে এমন কোনো জায়গায় আটকে ছিলেন ওই ব্যক্তি। বাতাসের চাপের কারণে লঞ্চের ওই জায়গায় পানি না থাকায় ডুবে থাকার কোনো চিহ্ন মেলেনি তার দেহে।
সাবেক ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও অগ্নি নিরাপত্তা পরামর্শক সেলিম নেওয়াজ ভুঁইয়া বলেন, অলৌকিক কিছু হতে পারে না। বাস্তবসম্মত কিছু হলে এটাই হতে পারে, সেখানে বাতাস ছিল। এছাড়া সেখানেই অল্প অল্প করে শ্বাস নিয়ে বেঁচে ছিল। সে যদি পানিতেই না থাকে তাহলে তার শরীরে কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথাই না।
এভাবে ডুবে যাওয়া নৌযানের ভেতর বেঁচে থাকার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় দুই ব্যক্তি এবং নারায়ণগঞ্জে একটি ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে এক ব্যক্তিকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া, রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে ঘটনার ১৭ দিন পর ধ্বংস্তূপ থেকে রেশমা নামে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।